সাজেকে ঢাবী ছাত্রী অপহরণ ও কক্সবাজারে ধর্ষণের ঘটনায় মহিলা পরিষদের ক্ষোভ

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩
0

সাজেকে পর্যটক ঢাবি ছাত্রী অপহরণ এবং কক্সবাজারে পর্যটক দুজন নারীর ধর্ষণের শিকার হবার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিবৃতি।

আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লক্ষ্য করলাম যে,গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সহপাঠীদের সাথে সাজেকে ঘুুরতে গিয়ে ঢাবি ছাত্রী জিপে করে শিকজছড়া এলাকা অতিক্রম করার সময় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তদের হাতে অপহৃত হয়, ৭ ঘন্টা পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে উদ্ধার করে। অপরদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ কক্সবাজারে ঘুরতে যাওয়া দুইজন নারী নৃত্যশিল্পী স্থানীয় যুবকদের দ্বারা ধর্ষনের শিকার হয়। পর্যটন ক্ষেত্রে নারীদের এমন নিরাপত্তাহীনতার ঘটনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

সাম্প্রতিককালে ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপরাধীদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হলেও এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে প্রশাসন সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর আলাদা কোনো ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়না, যা অপরাধীকে আপরাধ করতে আরও উৎসাহিত করছে।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে নারী ভ্রমণকারীদের হার বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা প্রায়শই লক্ষ্য করি বিভিন্ন পর্যটন স্পটে পর্যটকরা ছিনতাইসহ নানা রকমের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। বিশেষত নারী পর্যটকরা বেশি সমস্যায় পড়েন। আমাদের দেশের পর্যটনশিল্প একটি সম্ভবনাময় শিল্প, যেখানে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটনবান্ধব পরিবেশ উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য। কিন্তু এই শিল্পক্ষেত্রটি এখনও নারীর নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করে নারীবান্ধব হয়ে ওঠেনি। পাশাপাশি এইসব এলাকায় মাদকদ্রব্যের অবাধ ব্যবহারও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। এর ফলে নারী পর্যটকদের নিরাপত্তা আরও হুমকির মুখে পড়ছে।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই দুইটি ঘটনার দ্রæত, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের দ্রæত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছে। একই সাথে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে পর্যটন এলাকায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর সংখ্যা ও তাদের তৎপরতা আরও বৃদ্ধি করার দাবি জানাচ্ছে।