সাদেক হোসেন খোকার ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে তারেক রহমান -মীর্জা ফখরুলের বাণী

আপডেট: নভেম্বর ৩, ২০২১
0

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল মেয়র, সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক সাদেক হোসেন খোকার ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দেশ জনতা ডটকমের পাঠকদের জন্য দুই নেতার বানী হুবুহু তুলে ধরা হলো

তারেক রহমান বলেছেন, “মরহুম সাদেক হোসেন খোকা একজন জনঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ‘৭১ এর রণাঙ্গনে দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য তাঁর বীরোচিত ভূমিকা কিংবদন্তীতুল্য। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর নীতি ও আদর্শে গভীরভাবে আস্থাশীল এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে বিশ্বাসী মরহুম সাদেক হোসেন খোকা বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও জনগণের নিকট ছিলেন অত্যন্ত সমাদৃত।

দীর্ঘদিন অবিভক্ত ঢাকার নির্বাচিত মেয়র হিসেবে রাজধানী ঢাকার উন্নয়নে তিনি যে অবদান রেখেছেন সেজন্য ঢাকাবাসী তাঁকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার, সজ্জন ও বিনয়ী স্বভাবের একজন মানুষ। একজন গণতন্ত্রমনা নেতা হিসেবে ভিন্ন মতাবলম্বী রাজনীতিকদের মতামত শুনতে ও মতবিনিময়ে তিনি কখনোই কুন্ঠাবোধ করতেন না। গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণে রাজরোষে পড়া সত্বেও তিনি স্বৈরশাসক ও ফ্যাসিবাদী শাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেননি। বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে জনাব সাদেক হোসেন খোকার বলিষ্ঠ ভূমিকা নি:সন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।

রাজনীতির পাশাপাশি তিনি জনসেবামূলক বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন দেশের একজন অগ্রগণ্য ক্রীড়া সংগঠক। ক্রীড়ার মানোন্নয়নে তিনি থেকেছেন সবসময় নিবেদিতপ্রাণ। দেশের বর্তমান দুঃশাসন মোকাবেলায় মরহুম সাদেক হোসেন খোকার মতো আদর্শনিষ্ঠ ও সাহসী নেতার খুবই প্রয়োজন ছিল। তাঁর রেখে যাওয়া অমলিন স্মৃতি সবসময় নেতাকর্মীদের উৎসাহ ও প্রেরণা যোগাবে।
আমি মরহুম সাদেক হোসেন খোকার ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বাণী

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, ঢাকা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি, অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল মেয়র, সাবেক মন্ত্রী ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক সাদেক হোসেন খোকার ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
“দেশের বর্তমান ক্রান্তিকালে এক বছর আগে জাতি একজন যোগ্য নেতাকে হারিয়েছে। মরহুম সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন ‘৭১ এর রণাঙ্গনের বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা, দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধাবনত:চিত্তে স্মরণ করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকায় তাঁর নেতৃত্বে পাকবাহিনীর বিভিন্ন আস্তানায় গেরিলা আক্রমণ পাকিস্তানীদের ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল দৃঢ় হয়েছিল। বিশ^ মিডিয়ায় এসব গেরিলা আক্রমণের সংবাদে বাংলাদেশের মানুষের মরণপন যুদ্ধের কথা বিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছিল।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের মানুষ ভয়াবহ দুঃশাসনের কবলে নিপতিত, এই অবস্থায় নানা প্রতিকুল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েও স্থির লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার নির্ভিক নেতা ছিলেন মরহুম সাদেক হোসেন খোকা। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শণে বিশ্বাসী, সৎ, যোগ্য, অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ এবং কর্তব্যনিষ্ঠ ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ মরহুম সাদেক হোসেন খোকা তাঁর রাজনৈতিক জীবনে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে গৌরবোজ্জল ভূমিকা পালনের জন্য দেশবাসীর নিকট অমলিন হয়ে থাকবেন। মরহুম সাদেক হোসেন খোকা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর আদর্শের সৈনিক, একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি ঢাকা মহানগর বিএনপি-কে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে তাঁর সাহসিকতা নেতাকর্মীদের নিকট চিরকাল অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। জনসেবার মহান ব্রত নিয়ে তিনি রাজনীতি করতেন বলেই তিনি ঢাকাবাসীর নিকট ছিলেন একজন জনপ্রিয় নেতা। ফ্যাসিবাদী শাসকদের ভয়াবহ দুঃশাসন মোকাবেলায় সাদেক হোসেন খোকার মতো পূর্ণাঙ্গ ও ত্যাগী রাজনীতিবিদের পৃথিবী থেকে চিরপ্রস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য এক বিরাট শুন্যতা। আমি মরহুম সাদেক হোসেন খোকার ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।”