সাফারী পার্কের অনেকেরই বিদেশী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনায় তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২
0
ক্যাপশনঃ গাজীপুর ঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের নতুন প্রকল্প পরিচালক বক্তব্য রাখছেন।

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ দক্ষিণ এশিয়ার সাফারী পার্কগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম একটি পার্ক গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক। এখানে বিদেশী নানা ধরনের বন্যপ্রাণী রয়েছে। এখানে কর্মরতদের অনেকেরই বিদেশী বন্যপ্রাণীর ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। তাই এসব বিদেশী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলো আমাদের রপ্ত করতে হবে। সেজন্য প্রাণীগুলো যেসব দেশ থেকে আনা হয়েছিল সেসব দেশে যোগাযোগ করে ও তাদেও পরামর্শ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশের ব্যবস্থাপনা সম্পৃক্ত রেখে এর কৌশল আয়ত্ব করে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।

সাফারী পার্কের দায়িত্ব গ্রহনের পর শুক্রবার বিকেলে পার্ক পরিদর্শণ শেষে স্থানীয় গণমাধ্যম কমর্ীদের সঙ্গে মত বিনিময় কালে এসব কথা বলেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পবিত্র স্মৃতি ও মহান অবদানের স্বীকৃতির নিদর্শন হিসেবে গাজীপুরে এ পার্কটি প্রতিষ্ঠা করে বন বিভাগ পরিচালনা করে আসছে। পূর্বে যারা সাফারী পার্ক পরিচালনায় ছিল তারাও বেশ দক্ষতার সাথে পার্ক পরিচালনা করেছে। যেহেতু এটি আমাদের জাতির পিতার প্রতিষ্ঠান তাই এর স্বার্থের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে। এসময় জেব্রার মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আগে কোনো কিছু বলা সম্বব নয়।

প্রসঙ্গতঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক প্রতিষ্ঠার পর চলতি বছরই সবচেয়ে বেশী প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত ২ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৭ দিনের ব্যবধানে এ পার্কে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ ও একটি সিংহী মারা যায়। জেব্রা ও বাঘের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং দায়িত্বে অবহেলাকারীদের সনাক্তকরণের লক্ষ্যে গঠন করা হয় মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। পার্ক ব্যবস্থাপনার নানা বিষয়ে আনা হয় পরিবর্তন। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সরিয়ে নেয়া হয় পার্কের প্রকল্প পরিচালক, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও চিকিৎসককে। এরমধ্যে গত ৩১জানুয়ারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান ও সাফারি পার্কের ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ হাতেম সাজ্জাদ মোঃ জুলকারনাইনকে বন অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। তবিবুর রহমানের স্থলে ফরিদপুর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম ও ডাঃ হাতেম সাজ্জাদ মোঃ জুলকারনাইনের স্থলে কক্সবাজারের চকোরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্কের ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে বদলী করা হয়। তারা গাজীপুরের নতুন কর্মস্থলে ২ জানুয়ারি যোগদান করেন।

এদিকে গত বুধবার পার্কের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব থেকে জাহিদুল কবিরকেও সরিয়ে দেয়া হয়। তার স্থলে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল, ঢাকা এর বন সংরক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মোল্যা রেজাউল করিমকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পার্কের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। বৃহষ্পতিবার মোল্যা রেজাউল করিম পার্কের অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন।