সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

আপডেট: মে ৭, ২০২৩
0

সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের চৌদ্দগ্রামের নিজ বাড়িতে ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, “৫ মে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের পশ্চিম ডেকরা গ্রামে একদল দুর্বৃত্ত ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আওয়ামী দলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিবের পালিত কুলাশার গ্রামের সন্ত্রাসী আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন আওয়ামী সন্ত্রাসী নির্বিচারে ভাঙচুর করে এবং তাণ্ডবলীলা চালায়।

একই সময় ডা. তাহেরের চাচাতো ভাই ফয়েজ আহমেদ এবং পার্শ্ববর্তী দিনমজুর শাহ আলমের বাড়ি ও নিরীহ গ্রামবাসী তাহের মিয়াজীর মাইক্রোবাসসহ গ্রামের বিভিন্ন ঘর-বাড়িতে হামলা চালায় ও ভাঙচুর করে।

হামলায় বাড়িঘর ও মূল্যবান জিনিসপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। কোনো কারণ ছাড়াই পূর্বপরিকল্পিকতভাবে আকস্মিক এ হামলা চালানো হয়েছে। এমন বর্বর হামলায় প্রাণভয়ে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ নিরীহ মানুষ মারাত্মকভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আমরা এ কাপুরুষোচিত বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

নেতৃবৃন্দ বলেন, “সারা দেশের মতো কুমিল্লাতেও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে অবৈধ আওয়ামী সরকার। কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক মুজিব প্রায় ২০ বছর যাবৎ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে। তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে চৌদ্দগ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ। তারই ধারাবাহিতকতায় এ হামলা চালানো হয়েছে। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, শুধু বিরোধী দলের নেতাকর্মীরাই নয়; বরং আওয়ামী সন্ত্রাসের কারণে সর্বস্তরের মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে আছে। এমন সন্ত্রাস অব্যাহত থাকলে ক্ষোভ গণবিস্ফোরণে রূপ নেবে।

এমন কাপুরুষোচিত বর্বর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কীভাবে সন্ত্রাসীদের পাল্টা জবাব দিতে হয় এদেশের ছাত্রজনতা তা জানে।

আওয়ামী সন্ত্রাস অব্যাহত থাকলে এবং আবারো বিচারহীনতার নজির স্থাপন করলে জনগণ সন্ত্রাসীদের প্রতিহতের সিদ্ধান্ত নেবে। আর তখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তার দায়ভার অবৈধ আওয়ামী সরকার ও তার সন্ত্রাসীদের বহন করতে হবে।”