সারের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে : শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন

আপডেট: এপ্রিল ১৩, ২০২৩
0

সারের দাম বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

সারের মূল্য প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বাড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ও বাংলাদেশ কৃষিজীবী শ্রমিক ইউনিয়ন।
আজ এক যুক্ত বিবৃতিতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান এবং কৃষিজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম রব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হাসান রাজু বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষক বান্ধব সরকার না। তারা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি করে দেশকে আমদানি নির্ভর করে তুলছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার কথা দিয়ে কথা রাখে না। গত ৩ই এপ্রিল কৃষিমন্ত্রী সারের দাম আর বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছিলেন। এক সপ্তাহের মাথায় কৃষি মন্ত্রণালয় ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি ও এমওপি সারের দাম কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়েছে। যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কৃষকের ও দেশের স্বার্থ পরিপন্থী।

তারা বলেন, সরকার গত বছরের আগস্ট মাসে সারের দাম ৬ টাকা বাড়িয়েছিল। দফায় দফায় বীজ, ডিজেল ও কৃষি উপকরণের দাম বাড়িয়েছে। কৃষি উপকরণের বারংবার মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা চাষাবাদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কৃষকরা ফসল উৎপন্ন থেকে বিরত থাকলে পক্ষান্তরে দেশকে আমদানি নির্ভর হতে হবে। একবার আমদানি নির্ভর হয়ে গেলে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের মানুষের ওপর। তাই আর দেরি না করে অবিলম্বে সারসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্য হ্রাস ও কৃষিখাতে সরকার ভর্তুকি বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কৃষকরা উৎপন্ন ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃষকদের ঠকিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। ফলে কৃষকরা প্রতি বছর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষকের উৎপন্ন পণ্যের ন্যায্য মূল্য দিতে সরকারকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কালোবাজারিদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। ধান, চালসহ সকল কৃষিপণ্য সরাসরি কৃষকের থেকে সরকারকে ক্রয় করতে হবে। জেলা ও উপজেলা শহরে কৃষকদের জন্য সমবায় বাজার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য গুদাম ও হিমাগার নির্মাণ করতে হবে।

তারা আরও বলেন, সরকার বৈশ্বিক দুরাবস্থার অজুহাত দিয়ে দেশের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আজ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। বাজারের প্রতিটি জিনিসের দাম শ্রমজীবী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। সরকার দাম বাড়ানোর সময় বলে, বৈশি^ক দাম কমলে সমন্বয় করা হবে। সেই সমন্বয় আর হয় না। অবিলম্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য শ্রমজীবী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার জন্য এখনই সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।