সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের প্রহসন বন্ধ করুন–মনা

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
0

খুলনা ব্যুরো:
সার্চ কমিটির সংলাপের নামে তামাশা বন্ধ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। এ দেশের মানুষ দুই দুটি প্রহসন প্রত্যক্ষ করেছে, যার একটিতে দেড়শ জন বিনা ভোটে এমপি হয়েছিল; অন্য প্রহসনে দিনের ভোট আগের রাতেই হয়ে গিয়েছিল। দেশে বিদেশে আওয়ামী লীগের পরিধি ছোট হয়ে আসছে দাবি করে তিনি বলেন, জনগনের হারিয়ে যাওয়া সব অধিকার পুনরুদ্ধারে অচিরেই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক আসবে। যে আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করা হবে। সেই চুড়ান্ত আন্দোলনে বিজয় অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের প্রস্ততি নিতে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

খুলনা মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে আয়োজিত শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুল আলম মনা এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের বায়তুন নাজাত এতিমখানায় অবস্থানরত শিশু এবং পরবর্তীতে এলাকার দু:স্থ অসহায় মানুষের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
শফিকুল আলম মনা বলেন, বিএনপি গণমানুষের দল। শাসক গোষ্ঠীর রোষানলের শিকার হয়ে প্রশাসনের ষ্টীমরোলার সহ্য করে বিএনপি সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে অসহায় দু:স্থ মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এ কর্মসূচি ধারবাহিকভাবে চলবে। তিনি বলেন, জনগনই বিএনপির শক্তি। এই সত্য আওয়ামী লীগ জানে বলেই যেনতেন ভাবে চক্রান্ত ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা বানোয়াট মামলার সাজানো পাতানো রায়ে কারাগারে বন্দী রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে বাঁধাগ্রস্থ করতে তাদের প্রচেষ্টার শেষ নেই। জনগনের অভ্যূত্থানের মুখে গণতন্ত্র হত্যাকারী জালেম সরকার মসনদ থেকে সমূলে উচ্ছেদ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেখ জাহিদুল ইসলাম, রেহানা ঈসা, শাহিনুল ইসলাম পাখী, আশরাফুল আলম নান্নু, আজিজুল হাসান দুলু, শেখ সাদী, মুর্শিদ কামাল, এহতেশামুল হক শাওন, একরামুল হক হেলাল, আজিজা খানম এলিজা, কে এম হুমায়ুন কবির, আবুল কালাম জিয়া, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, আব্দুর রাজ্জাক, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, শেখ আনসার আলী, হাফিজুর রহমান মনি, নাসির খান, ওয়াহিদুর রহমান দীপু, বদরুল আনাম খান, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, বেগ তানভিরুল আযম, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, মশিউর রহমান যাদু, সজীব তালুকদার, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, মতলেবুর রহমান মিতুল, মুনতাসির আল মামুন, জাহাঙ্গীর হোসেন, জি এম মঈনউদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম লিটন, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, তারিকুল ইসলাম তারেক, মিজা মাহমুদ, নাসরিন হক শ্রাবণী, আফসারউদ্দিন মাস্টার, এইচ এম আসলাম, শামসুল বারিক পান্না, মাহমুদ হাসান বিপ্লব, আমিন আহমেদ, খায়রুল ইসলাম হিরু, আসাদুজ্জামান লিটন, মাহবুবউল্লাহ শামীম, নুরুল মোর্শেদ সোহাগ, আব্দুল হান্নান, মোশারফ আলী, মাসুদ খান, হানিফ মাহমুদ, বায়েজিদ হোসেন, জি এম মুনসুর আজাদ, আজগর আলী, আবুল কালাম আজাদ, মো: ওমর ফারুক প্রমুখ।