সালাম-এ্যানির ৬ মাসের জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই

আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
0

বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিচারপতি মো: আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি মো: শাহেদ নূর উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ছয় মাসের জামিন দেন। একইসাথে তাদের কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

জামিন আদেশের পর বিএনপি নেতাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘হাইকোর্ট আবদুস সালাম ও শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিকে ছয় মাসের অন্তর্ভুক্তিকালীন জামিন আদেশ দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় তাদের জামিনে মুক্তিতে বাধা নাই।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির এই দুই নেতার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তাদের সহ-আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। আদালত আমাদের এই যুক্তি গ্রহণ করে জামিন দেন।’

আদালতে বিএনপির এ দুই নেতার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম সুমন। সাথে ছিলেন আইনজীবী মো: আক্তারুজ্জামান, ব্যারিস্টার এজাজ কবীর প্রমুখ।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলায় হাইকোর্টের দেয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। এরপর ৯ জানুয়ারি আটক হওয়ার ৩২ দিন পর কারামুক্ত হন তারা।

গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উস্কানি দেয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় গত ৮ ডিসেম্বর দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ ৪৩৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ৮ ডিসেম্বর আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই থেকে বিএনপির এসব নেতাকর্মীরা কারাগারে রয়েছেন। তবে ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্যাহ আমান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।