সিএএ রুখতে প্রথম রাজ্য হিসাবে সুপ্রিম কোর্টে গেলো কেরালা

আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৪
0

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেলো কেরালা সরকার। এর আগেই মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, কেরালায় সিএএ কার্যকর করা হবে না। এটাই তাদের সরকারের অবস্থান। এই প্রথম সিএএ কার্যকরে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কোনও রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতর জানিয়েছে, সংবিধানের ১৩১ ধারার অধীনে আগেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

এ বার সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিতে চলেছে রাজ্য। কেরালার আইনমন্ত্রী পি রাজীব বলেছেন, এটি (সিএএ) সংবিধানের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে এবং আমরা এই আবেদনকে সংবিধান বিরোধী হিসাবে ঘোষণা করার জন্য প্রার্থনা করি। এটি আগে প্রার্থনা ছিল। এখন আমরা আবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা আমাদের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে সুপ্রীম কোর্টে আমাদের সিনিয়র কাউন্সেলের সাথে যোগাযোগ করতে এবং সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অর্পণ করেছি।

পাশাপাশি, একই আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন ‘অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’ (মিম) দলের প্রধান তথা হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

আবেদনে ওয়েইসি জানিয়েছেন , সিএএ-তে নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হলেও, এই আইনে আসলে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোণঠাসা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে ওয়েইসি সিএএর সঙ্গে জুড়েছেন জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকেও (এনআরসি)। ১১ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সিএএ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তার পরই সিএএ কার্যকরের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী ১৯ মার্চ সেই মামলাগুলির পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সে সময়ই কেরল সরকার ও আসাদউদ্দিন ওয়েইসিদের আবেদন এক সঙ্গে শোনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে