সিদ্ধিরগঞ্জে মামলা তুলে নিতে দুই পরিবহন চাঁদাবাজের হুমকি : থানায় জিডি

আপডেট: মে ২৬, ২০২১
0

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি মামলা তুলে নিতে মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে চিহ্নিত দুই পরিবহন চাঁদাবাজ। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি করেছেন মামলার বাদী ইন্টারনেট ব্যবসায়ি মহসিন হোসেন রানা (২৫)। দুই পরিবহন চাঁদাবাজ হলেন, আব্দুস সামাদ বেপারী ওরফে লেতুর সামাদ (৫০) ও এস এম মাসুদ রানা (৪৫)। এই দুই চাঁদাবাজ শিমরাইল মোড়ে পরিবহনে চাঁদাবাজির সময় হাতে নাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল র‌্যাব-১১ এর হাতে। দীর্ঘদিন জেল খেটে বেরিয়ে নতুন করে শুরু করেছে নানা অপকর্ম।

জিডিতে সিদ্ধিরগঞ্জে হিরাঝিল আবাসিক এলাকার ইন্টারনেট ব্যবসায়ি মহসিন হোসেন রানা উল্লেখ করেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হিরাঝিল আবাসিক এলাকায় ১০নং রোডে “জারা কমিউনিকেশন” নামে তার ব্যক্তি মালিকানাধীন ইন্টারনেট ও আইএসপি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজীর ঘটনায় বিবাদী কথিত যুবলীগ নেতা মো: ফারুক ওরফে টাইগার ফারক (৪৩) বাবু (৩০) ও জসিম (৩৭) এর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলা করেন। (মামলা নং-৫)।
মামলা করার কয়েকদিন পর হতে অজ্ঞাতনামা লোককজন বিভিন্ন সময় বাদী মহসিন হোসেন রানাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামীদের সহিত আপোষ করতে চাপ দিতে থাকে এবং তার অফিসের সামনে প্রায় সময় বিভিন্ন ধরণের লোকজনের আনাগোনা দেখা যায়।

এ ঘটনায় মামলার বাদী অজ্ঞাতনামা লোকজনদের ভয়ে ঠিকমত অফিসে যেতে সাহস পাচ্ছে না। এক পর্যায়ে গত ১০ মে সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে বিবাদী সামাদ বেপারী ও এসএম মাসুদ রানা চাঁদাবাজি মামলার বাদী মহসিন হোসেনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে খোঁজ করে এবং উক্ত বিল্ডিংয়ে কেয়ার টেকার মো: হাসান আহম্মেদ (২০)কে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে। বিবাদী এসএম মাসুদ রানা উক্ত কেয়ারটেকারকে বিভিন্ন ভাবে শাসিয়ে বলে যে, ‘মামলার ঘটনায় কেউ সাক্ষী দিলে তার সমস্যা আছে’ এমন ভয় দেখিয়ে বিবাদীরা চলে যায়। বিবাদীদের অনুরুপ আচরনে মহসিন হোসেনসহ মামলার ঘটনার সাক্ষীরা ভীত সন্ত্রস্থ অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। পরে নিরুপায় হয়ে মহসিন মিয়া ১১ মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন। (জিডি নং-৫৫১)।

উল্লেখ গত ২ মে বহু অপকর্মের হোতা যুবলীগ নেতা টাইগার ফারুককে আটক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। ৩ মে টাইগার ফারুকসহ ৩জনের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন ইন্টারনেট ব্যবসায়ি মহসিন হোসেন।