সীমান্ত হত্যার জবাব চাইতেও ব্যর্থ হয়েছে নতজানু সরকার —-

আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
0

সরকারের অজানায় আশঙ্কায় বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ’র নেতৃবৃন্দ বলেছেন,সীমান্ত হত্যার নিন্দা করতে ও জবাবদিহিতা চাইতেও ব্যর্থ হয়েছে নতজানু সরকার

আজ ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, বুধবার, গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চের বর্তমান সমন্বয়ক গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সাভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসার পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পরে গতকাল ৩০ জানুয়ারি যে ডামি সংসদ অধিবেশন বসেছে তা বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকারসহ সকল অধিকার হরণ করার সংসদ। সাংবিধানিক ভাবে অবৈধ নির্বাচন ও সরকারের কার্যভার গ্রহণের মাধ্যমে দেশকে স্থায়ী সংকটের মধ্যে ফেলছে। ডামি নির্বাচন ও ডামি সংসদের প্রতিবাদে যখন বিরোধী দলগুলো প্রতিবাদ মিছিল করেছে, এক অজানা আশঙ্কায় রাষ্ট্রের দিকে থেকে বাধা দেয়া হয়েছে। গতকাল গণতন্ত্রমঞ্চ, বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মূচিতে হামলা করা হয়েছে, আহত করা হয়েছে, আটক করা হয়েছে এবং কর্মসূচি বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকারের দুর্নীতি লুটপাটে ব্যাংকগুলো খালি নিঃস্ব করে ফেলা হয়েছে, এখন টাকা ছাপিয়ে সংকট উত্তরণের জন্য ব্যাংকে সর্বরাহ করা হচ্ছে যা নতুন করে লুটের আয়োজন অবধারিতভাবেই হবে। অর্থনৈতিক পরিস্থিত ভেঙে পড়ার ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের ভেতরে থাকা সিন্ডিকেটের দাপটে নিত্যপণ্য ও খাদ্য সামগ্রির মূল্য মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রির দাম ইতিমধ্যেই বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয়েছে।

বিবৃতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সীমান্ত এখন দুনিয়ার অন্যতম প্রাণঘাতি সীমান্তে পরিণত হয়েছে। ২০২৩ সালে ৩১ বাংলাদেশী নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরো অসংখ্য মানুষ। এমনকি বিজিবি সদস্যকেও হত্যা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো সীমান্তের ওপারে। এ ঘটনার নিন্দা করতে ও জবাবদিহিতা চাইতেও ব্যর্থ হয়েছে নতজানু সরকার। নেতৃবৃন্দ বলেন অগণতান্ত্রিক ও ভোটবিহীন সরকার সিমান্তে মানুষের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

গণতন্ত্রমঞ্চের সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডির সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারি, স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজ মিয়া, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম নবাব, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, যুগ্ন আহবায়ক বাবুল বিশ্বাস, যুগ্ন সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হাবিব, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন, প্রচার ও মিডিয়া সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু ও সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া প্রমুখ।