সেপ্টেম্বরেই হল খোলার পরামর্শ ছাত্র সংগঠনগুলোর

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
0

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ

সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সকল আবাসিক হল খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন গুলোর সংগঠন পরিবেশ পরিষদ।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে পরিবেশ পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি ভার্চুয়াল সভায় এ দাবি জানান সংগঠনটির অন্তর্ভুক্ত ছাত্রদলগুলোর নেতাকর্মীরা।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্টোবরে হল খোলার সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করে অতি দ্রুত হল খুলে দেয়া ও অমানবিক পরিবেশে শিক্ষার্থীদের বসবাসের পদ্ধতি অর্থাৎ গণরুম প্রথা ও গেস্টরুম প্রথা উচ্ছেদ বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে উপাচার্যের আলোচনা হয় এবং সংগঠনগুলো তাদের মতামত ও পরামর্শ উপাচার্যকে জানান।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের(জাসদ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রাহাত নয়া দিগন্ত কে বলেন, আমরা সব সংগঠন এটাই দাবি করেছি, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ক্যাম্পাস খুলে দেয়া হোক এবং সেটার ঘোষণা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে আসে। গণরুম যেন না থাকে, এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা যাতে হলে না থাকতে পারে। সেইসাথে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের যে আধিপত্য সেটা যেন না থাকে।

গণরুম ও গেস্ট রুমের বিষয়ে ছাত্রলীগ সবার সাথে একমত হয় নি দাবি করে তিনি বলেন, আমরা দাবি করেছি গণরুম ও গেস্ট রুম থাকবে না কিন্তু ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য দাবি করেছেন গণরুম থাকবে না তবে গেস্টরুম যেন বন্ধ না হয়। উনি(লেখক ভট্টাচার্য) এবং সঞ্জিত দাদা(ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি) বলেছেন যে গেস্ট রুমে সাংস্কৃতিক চর্চা হয়।

কবে নাগাদ হল খুলতে পারে এ বিষয়ে উপাচার্য কিছু বলেছেন কি না জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন বলেন, ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা প্ল্যান করেছেন। তারপরও তারা আমাদের পরামর্শ নিলেন, পরবর্তীতে তারা একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং করে সিদ্ধান্ত বিবেচনা করবেন। আমরা দাবি করেছি অক্টোবর নয়, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই হল খুলে দিতে হবে এবং গণরুম বিষয়ে শুধু ঘোষণা নয় এটা যেন একবারে বাতিল করা হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী বলেন, আমরা দাবি জানিয়েছি যাতে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে হল খুলে দেয়া হয় ও প্রতিটি হলে আইসোলেশন সেন্টার চালু করা, মেডিকেল সেন্টারকে আধুনিকায়ন করা ও প্রয়োজনে জিমনেসিয়ামের খালি রুম গুলোতে যেন করোনা প্রতিরোধ ব্যাবস্থা চালু করা হয়।

সংগঠনগুলো ক্যাম্পাস খোলার পরে স্বাস্থ্যবিধি ঠিকভাবে মানা, ক্যাম্পাসে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ, বহিরাগত এবং ভাসমান দোকানপাট নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারেও উপাচার্যকে পরামর্শ দেন।

এছাড়াও সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য(শিক্ষা) মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য(প্রশাসন) আব্দুস সামাদ, প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী সহ বিভিন্ন হলের প্রাধ্যাক্ষগণ উপস্থিত ছিলেন।