সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা আব্দুল খালেক: অচিরেই এক দফা আন্দোলনের মাধ্যমে আ’লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে

আপডেট: নভেম্বর ১৮, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি॥
ডিজিটাল স্বৈরাচার, বিনা ভোটের অবৈধ খুনি হাসিনার সরকারের পতনের লক্ষ্যে একদফার আন্দোলন শুরু করা হবে। যে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রকারী সকল অপশক্তিকে রুখে দিয়ে দেশে আবারও জনগণের দেশপ্রেমিক সরকার ক্ষমতায় আসবে। সেই আন্দোলনে দলমত সর্বস্তরের দেশবাসীকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি) এর কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক।

তিনি বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) বিকাল ৫ টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেছেন।

তিনি আরও বলেন, বিগত ১২ বছর যাবত জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে বিনা ভোটের অবৈধ সরকার। যে কারণে জনস্বার্থ বিরোধী নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশবাসীকে চরম ভোগান্তির মধ্যে ফেলেছে। দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতির ফলে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। কিন্তু তবুও সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের। বরং দিন দিন তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বাড়ায় চলেছে।

বিগত কয়েকদিনে তা আকাশ ছোয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার এ ব্যাপারে নিশ্চুপ কারণ তারা জনমানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়। তাই জনগণের প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র দায়িত্ববোধ বা সহমর্মিতা নেই। দিনের ভোট রাতে করে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় এসেছে এ সরকার।

তিনি বলেন, যে দেশের সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করে। প্রশাসন সেই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে অবৈধ উপায় অবলম্বন করে। সেই দেশের জনগণ কখনই শান্তিতে থাকতে পারেনা। আজ বাংলাদেশের কোন মানুষই স্বস্তিতে নেই। শুধু প্রশাসন ও সরকারের নেতা এমপি-মন্ত্রীরা ভালো আছে। কারণ তারা হাজার হাজার কোটি টাকা দূর্ণীতির মাধ্যমে পকেটস্থ করেছে। এর প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। সময় হলেই তা প্রকাশিত হবে।

এমন দূর্নীতি করার সুযোগ সৃষ্টির জন্যই গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। গণমানুষের কোন অধিকার নেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। যে কারণে গত কয়েকদিন পূর্বে তাদের নিয়োগকৃত নির্বাচন কমিশনার মাহবুব হোসেন তালুকদার বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, গণতন্ত্র আজ আইসিইউতে, আর সুশাসন যেন মর্গে।

এসব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে অকুতোভয় ও আপসহীন নেত্রী হলেন খালেদা জিয়া। ইতোপূর্বেও তিনি ৯ বছরের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার করেছেন। গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একারণে বর্তমান সরকার মিথ্যে মামলায় ভূয়া রায় দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।

আজকে তাঁর চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু এভাবে অপরাজনীতির মাধ্যমে সরকার বেশিদিন টিকে থাকতে পারবেনা। অচিরেই বিএনপি’র নেতৃত্বে দেশব্যাপী একদফার আন্দোলন শুরু করা হবে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার, যুগ্ম সদস্য সচিব শাহিন আক্তার শাহিন, শওকত হায়াত শাহ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এম এ পারভেজ লিটন, সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক তারিক আজিজ, পৌর বিএনপি’র আহবায়ক শেখ বাবলু, আব্দুল খালেক, সামসুল আলম, কাজী একরামুল হক, হাজী রশিদুল হক সরকার, জিয়াউল হক জিয়া, মিজানুর রহমান বসুনিয়া, মনোয়ার হোসেন সরকার, আবিদ হোসেন লাড্ডান, ছাত্রদলের সভাপতি রেজওয়ান আক্তার পাপ্পু প্রমুখ।

দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রতিবাদে এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পথসভার পূর্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় একটি লিফলেট বিতরণ করা হয়। পথসভা শেষে বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল ও যুবদলের আয়োজনে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।