সৈয়দপুরে ফার্মেসী, মুদি ও খাদ্যপন্যের দোকানে মানা হচ্ছেনা সামাজিক দুরত্ব

আপডেট: জুলাই ১২, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে কঠোর লকডাউনে ঔষধ, মুদি ও খাদ্য পণ্যের দোকানে সামাজিক দুরত্ব মানার বালাই নেই। মাস্ক পরতেও অনিহা দেখা যাচ্ছে।

গত ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলতি লকডাউনের মধ্যে এ দৃশ্য যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। সোমবার (১২ জুলাই) সরেজমিন শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, শহীদ তুলশিরাম সড়ক, শহীদ ডাঃ শামছুল হক সড়ক, শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক, শহীদ জহুরুল হক সড়ক ঘুরে দেখা গেছে একই চিত্র।

এর মধ্যে পৌর সব্জি বাজার, মাছ বাজার, ঔষধের দোকান, ডিম দোকান ও বিভিন্ন খাদ্য দ্র্রব্যের দোকানে অন্তত তিন ফিট দূরত্ব থাকার কথা থাকলেও মানা হচ্ছেনা সামজিক দূরত্ব। বিক্রেতাদের মাস্ক পরার নির্দেনা দেয়া থাকলেও বেশির ভাগ দোকানের কর্মচারীরা তা মানছেন না।

তবে যৌথ বাহিনীর গাড়ী দেখলে তাৎক্ষনিক আইন মানার প্রবনতা দেখা গেলেও প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে একই অবস্থা। ব্যপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যেন আইন না মানাই বড় কৃতিত্ব। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমন বিস্তার রোধে চলাচলে বিধি-নিষেধ ও সরকারি নির্দেশনা ভেস্তে বসেছে।

জীবন রক্ষাকারী ঔষধ ও বিভিন্ন খাদ্যের দোকান চলমান লকডাউন ও করোনায় বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকায় দোকান খুলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক কমপক্ষে তিন ফিট দুরত্বে মাস্ক পড়ে পণ্য ক্রয় ও বিক্রয় করার নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষা করা হচ্ছে।

এদিকে সৈয়দপুর প্লাজা সুপার মার্কেট সংলগ্ন শহীদ আজিজার রহমান স্ট্রিট সড়কের বাসিন্দা বঙ্গবন্ধু সড়কের সৈয়দপুর মেডিক্যাল ষ্টোর ও সৈয়দপুর ফার্মেসী (বঙ্গবন্ধু সড়ক) এর মালিক আশিক বদর ও আনবীর আল বদর এবং তাদের মা শামা পারভীন করোনা পজেটিভ হয়েও প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে অবলীলায় ব্যবসা চালিয়েছেন।

এমনকি টেষ্ট করানোর দিনও তারা সারাদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠঠান পরিচালনা করেছেন। ১০ জুলাই সন্ধ্যায় রিপোর্ট পাবার পর আক্রান্তরা আসেনি। কিন্তুু তারা একই পরিবারের সদস্য। এক সাথে ঘুরেছে, ব্যাবসা করেছে। দোকানের অন্য সদস্যরাও হালকা সর্দি জ্বরে আক্রান্ত। তারপরও দোকান খোলা রাখায় নিরব বাহক হয়ে তারা শত শত মানুষকে আক্রান্ত করেছে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

এভাবে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা না মানার কারনে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে খুব দ্রুত। নিশ্চিত না হয়ে কেন দোকান খোলা রাখছে এবং রাখলেও কেন নিয়ম মানছেনা। এ ব্যাপারে কোন জবাবদিহিতাই নেই।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) রমিজ আলম জানান, আমরা ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী সমিতিকে নির্দেশনা দিয়েছি ও মাইকিং করেছি তাতেও যদি নির্দেশনা অমান্য করে পরবর্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাহজাহান আলী মনন
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি