হজ্জ পালনে গত বছরের সীমাবদ্ধতার নীতিতে পরিবর্তন করেছেন সৌদি বাদশা

আপডেট: মার্চ ১০, ২০২১
0

চলতি বছর ২০২১ সালের হজের ব্যাপারে সৌদি বাদশাহ গত বছরের নীতিতে পরিবর্তন এনেছেন। এবার হজের পবিত্র স্থানগুলো এমনভাবে সাজানো হবে যাতে করে করোনা মহামারী প্রতিরোধ করা যায়।

বিশ্বের মুসলিমদের জন্য সুখবর যে সৌদি বাদশাহ নিশ্চয়তা দিয়ে বলেছেন, কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে ২০২১ সালের হজ অনুষ্ঠিত হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

২০২১ সালের হজ আবেদনের ফরম :

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এখনো হজ আবেদনপত্রের বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেয়নি। এ বিষয়ে যখনই কোনো তথ্য পাওয়া যাবে তা জানানো হবে।

কবে অনুষ্টিত হবে ২০২১ সালের হজ :

২০২১ সালের হজের সময় হলো : ২০২১ সালের ১৭ জুলাই, শনিবার আর হজ শেষ হবে ২২ জুলাই ২০২১ সালে। সূত্র : দ্যা ইসলামিক ইনফরমেশন

হজ পালনের জন্য যেসব হাজি আসবেন তাদের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছেন সৌদি বাদশাহ। মক্কা ও মদিনার যেসব স্থানে হজ পালনকারীরা থাকবেন ওই আবাস স্থলগুলোর পৌরকর ও বাণিজ্যিক কর মওকুফ করা হবে।

যেসব বিদেশী হজ ও ওমরাহর সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত, তাদের সৌদিতে বসবাসের জন্য যে টাকা (ফি) দিতে হতো তা আগামী ছয় বছরের জন্য বন্ধ রাখা হবে। এসব ফি পরের বছরগুলোতে পরিশোধ করতে হবে বলে সৌদি প্রেস এজেন্সি নিশ্চিত করেছে।

যেসব ‘মোটর বাস’ এবারের ‘হজ পালনকারীদের’ পরিবহন করবে ওইগুলোর লাইসেন্সও এক বছরের জন্য বৈধ থাকবে। এ লাইসেন্সের জন্য ‘বাস মালিকদের’ অতিরিক্ত কোনো টাকাও দিতে হবে না। আমদানি-রফতানি ও অন্যান্য খাত থেকে শুল্ক আদায়ও তিন মাসের জন্য বন্ধ রাখা হবে। এ সব শুল্ক পরে চার মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

২০২১ সালের হজ পালনকারীদের জন্য করোনা ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক :

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, ২০২১ সালের হজের জন্য করোনা ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক। পূর্বেই ঘোষণা করা হয়েছে যে ওমরাহ পালনকারীদের জন্যও করোনা ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক।

কার্যকর স্যানিটাইজেসনের ব্যাবস্থা :

পবিত্রস্থানগুলোর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এমন প্রযুক্তির ব্যবস্থা করেছেন যাতে প্রত্যেক ‘হজ পালনকারী’ পবিত্র স্থানগুলো ভ্রমণের সময় নিজেদের পরিষ্কার (স্যানিটাইজ) করে নিতে পারেন। এছাড়া এমন প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে যাতে করে যেসব ব্যক্তির ভীষণ জ্বর আছে তাদের শনাক্ত করা যাবে এবং অন্য মেডিক্যাল বিষয়গুলোও শনাক্ত করা যাবে।

মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে কোনো করোনা রোগী নেই:

দুই পবিত্র মসজিদের (মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববী) প্রধান কর্মকর্তা ড. আব্দুল রহমান আল সুদাইস একটি সভায় বলেছেন, বিশ্বকে বলে দাও যে মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিই পৃথিবীর একমাত্র স্থান যেখানে এখনো কোনো করোনাভাইরাস প্রবেশ করেনি।