১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্তে জামায়াতের প্রতিবাদ

আপডেট: আগস্ট ২৪, ২০২২
0

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইলেট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম।

বুধবার নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে এক বিবৃতি দেন তিনি।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোটে এই যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্কের মধ্যেই নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রায় সকল রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ প্রকাশ করেছে। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নিজেও বলেছেন, ‘অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএমে বিশ্বাস করছে না।’

দেশবাসী মনে করেন, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের প্রতি কোনো তোয়াক্কা না করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আমরা সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের এই একপেশে সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, মূলত জালিয়াতির উদ্দেশ্যেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত যত জায়গায় ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছে, সব জায়গায় বিপত্তি দেখা দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনসহ আরো অনেক জায়গায় ইভিএম ঠিকমতো কাজ না করায় ভোট গ্রহণে বিপত্তি দেখা দিয়েছিল।

দেশের বোদ্ধা মহল ও প্রধান প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএমকে ‘জালিয়াতির বাক্স’ বা ‘কারচুপির যন্ত্র’ হিসেবে অভিযোগ করেছে। ইভিএমের ওপর দেশের জনগণের কোনো আস্থা নেই। সরকার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে অতীতের মতো আরেকটি প্রহসনের নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। তারা আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ‘কারচুপির যন্ত্র’ ইভিএমের মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচন করে যেকোনো মূল্যে আবার ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের এ দুরভিসন্ধি দেশের জনগণ কোনোভাবেই বাস্তবায়ন হতে দিবে না।

এ সময় তিনি ‘বিতর্কিত ও জালিয়াতির বাক্স’ হিসেবে খ্যাত ইভিএম ব্যবহার বন্ধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেয়ারটেকার সরকার বা দলনিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি