১৬ বছর পরে দেশের মাটিতে নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানের এশিয়া কাপ শুরু

আপডেট: আগস্ট ৩১, ২০২৩
0
file photo

১৬ বছর পর দেশের মাটিতে কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট; মাহেন্দ্রক্ষণটা স্মরণীয় করে রাখলো পাকিস্তান। বড় জয় দিয়েই এশিয়া কাপ শুরু করলো স্বাগতিকরা। উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালকে হারিয়েছে ২৩৮ রানে। যা রানের দিক থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম জয়৷

বুধবার মুলতানে নেপালের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা দুই দলের প্রথম দেখা৷ প্রথম দেখাতে নেপালের বিপক্ষে ৬ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ করে ৩৪২ রান। যা টপকাতে গিয়ে হিমালয়ের দেশটি থেমেছে মোটে ১০৪ রানে। ৩১ রানেই শেষ ৭ উইকেট হারিয়েছে নেপাল।

নেপালের ইনিংসে আক্রমণের শুরুটা করেছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ফিরিয়েছিলেন কুশাল ব্রুটাল (৮) ও রোহিত প্যাডলকে (০)। পরের ওভারেই আসিফ শেখকে ৫ রানে ফেরান নাসিম শাহ। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারায় নেপাল। সেখান থেকে ৫৯ রানের জুটি গড়ে তুলেন আরিফ শেখ ও সোমপাল কামি।

আরিফ ২৬ করে হারিস রউফের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। ২৮ রান করে হারিসেরই শিকার হন সোমপাল। এরপর বলার মতো সংগ্রহ কেবল গুলশান ঝার ১৩। বাকি কেউ দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি। শেষদিকে একাই চার উইকেট তুলে নেন শাদাব খান।

এর আগে নেপালের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করিয়ে দেয় পাকিস্তান। শুরুটা আশানুরূপ না হলেও বাবর আজম ও ইফতেখারের ঝড় তোলা জোড়া শতকে ৬ উইকেটে ৩৪২ রানের সংগ্রহ করে তারা।

অবশ্য বাউন্ডারি হাঁকিয়েই ইনিংস সূচনা করেছিলেন ফখর জামান। তবে ষষ্ঠ ওভারে, ২০ বলে মাত্র ১৪ রান করে ফিরেছেন তিনি। ফলে ২১ রানেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। পরের ওভারেই ফেরেছেন ইমাম উল হকও। ১৪ বলে ৫ রান করে রান আউট হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।

মাত্র ২৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন বাবর। ১০৯ বলে ৮৬ রানের জুটি গড়ে তুলেন দুজনে। রিজওয়ান ফেরেন ৫০ বলে ৪৪ রান করে। একটু পর ফেরেন ফেরেন আগা সালমানও, ১৪ বলে ৫ করে ফিরেন তিনি।

এরপর ইফতেখারকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ৪২তম ওভারে শতক পূরন করেন বাবর। একই ওভারে ফিফটি তুলে নেন ইফতেখার৷ এরপরই অবশ্য আরো বিধ্বংসী হয়ে উঠেন উভয়ে। এরপর যেন ইতিহাস বদলে দেন দুজনে, গড়েছেন নতুন রেকর্ড। পঞ্চম উইকেট জুটিতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান তুলেছেন দু’জনে। ১৩৪ বলে ২১৪ রান যোগ করে দু’জনে।

ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে নেপালি বোলারদের কচুকাটা করেন বাবর আজম। শুরুটা যদিও করেছিলেন দেখেশুনে, শেষে রান তুলেছেন ঝড়ো গতিতে। শেষ ওভারে ফেরার আগে করেন ১৩১ বলে ১৫১ রান। বাবরকে যোগ্য সঙ্গ দেন ইফতেখার। প্রথম ৪৩ বলে অর্ধশতক তুলার পর শতক তুলেন মাত্র ৬৭ বলে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬৮ বলে ১০২ রানে।