২৬ মার্চের রক্তের ঋণ সরকারকে শোধ করতে হবে–মির্জা ফখরুল

আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২১
0

২৬ মার্চের রক্তের ঋণ সরকারকে শোধ করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেছেন। তিনি বলেন , এই সরকার স্বাধীনতা দিবসের দিনে, ৫০ বছর পূর্তির দিনে সারা বাংলাদেশের মাটিতে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে। গত তিন দিনে ব্রাক্ষণবাড়িয়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামে সাধারণ মানুষের যে প্রাণ গেল এর জন্য এই সরকার সম্পূর্ণভাবে দায়ী। এজন্য এই সরকারকে জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত আজকের প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা দিবসে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গুলিতে সাধারণ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার খুব পরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসা শেষ করে দিয়েছে। পরিকল্পিতভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে।

তিনি বলেন, এইভাবে কখনো একটি দেশ চলতে পারে না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করে কখনোই এই আওয়ামী লীগ সরকার টিকে থাকতে পারবে না। তাদেরকে অবশ্যই চলে যেতে হবে৷ আজকে পরিকল্পিতভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পেটুয়াবাহিনীতে পরিণত করেছে। এই সরকারকে অবশ্যই চলে যেতে হবে। আজকে সময় এসেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে খবরের কাগজে দেখলাম নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। এই সরকার ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করেছে, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠপূর্ণ সম্পর্ক। ভালো কথা। আমরাও চাই প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক সুন্দর হোক, সুষ্ঠু হোক। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিস্তা পানি চুক্তি হয়নি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের শুধু এটা বলতে চাই, এই সরকারকে রেখে জনগণের যে আশা আকাঙ্ক্ষা, স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারব না। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে এই সরকারের চক্রান্তের ফলে গত তিন বছর ধরে আটক করে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়াকে অবশ্যই আমাদের মুক্ত করতে হবে। তারেক জিয়া নির্বাসিত আছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই আপনারা অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। অন্যথায় প্রতিটি বিকৃত সরকারকে যেভাবে পদত্যাগ করতে হয়েছে, আপনাদেরকে একইভাবে বিদায় নিতে হবে।