২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি

আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২২
0

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে আগামী ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

শুক্রবার সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে স্বাধীনতা সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, ‘‘১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র হতে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিকামী জনগনের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য আহবান জানিয়ে ছিলেন। এই কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রকে আমরা মনে করি মুক্তিযুদ্ধের সূচনা লগ্নের একটা কেন্দ্র, ঐতিহাসিক একটি ঘটনা।”

‘‘ এই ঐতিহাসিক স্থানটিকে আমরা মূল্যায়ন করে ২৭ মার্চ জাতীয় কমিটি শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওইদিন দুপুর ২টায় আমাদের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটি নেতৃবৃন্দ, জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ, দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ দেশের সর্বস্তরের জনগন এই কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে শ্রদ্ধা জানাবেন।”

একই সঙ্গে করোনা এবং ওমিক্রন সংক্রমনের কারণে জাতীয় কমিটির প্রনীত অনেক কর্মসূচি না হওয়ার কারণে তা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানান খন্দকার মোশাররফ।

তিনি বলেন, ‘‘ আমাদের সূবর্ণ জয়ন্তী বিভিন্ন কর্মসূচি গত দুই সাপ্তাহ যাবত পালন করছি। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে। কারণ অনেক কর্মসূচি ২৬ মার্চের মধ্যে আমরা সমাপ্ত করতে পারছি না।”

২০২১ সালের ১ মার্চ বিএনপি স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের বছরব্যাপী কর্মসূচি শুরু করে। তারা ২ মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, ৭ মার্চ রেইস কোর্সে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষন, ৯ মার্চ পল্টন ময়দানে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ভাষন, ৭ জুলাই জেডফোর্স গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক আলোচনা সভা, রচনা, স্বরচিত কবিতা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা, মুক্তিযুদ্ধের বই মেলাসহ ৪১দিনে কর্মসূচি পালন করেছে।

২৬ মার্চ বিএনপি ঢাকাসহ সারাদেশে বিজয় র‌্যালী করবে। সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ও শেরে বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে দলের নেতা-কর্মীরা।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘‘ মুক্তিযুদ্ধে এবং মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ৫০ বছরের ঘটনাবলীর যে প্রকৃত ইতিহাস জনগনের সম্মুখে তুলে ধরতে আমরা এসব কর্মসূচি পালন করেছি। কেননা আমরা লক্ষ্য করেছি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বর্তমান সরকার তাদের সুবিধামতো করে প্রচার করছে এবং বিকৃত ও মিথ্যা প্রচার দিয়ে জনগনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।”

‘‘ আমরা সেজন্য মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ও বিষয়ভিত্তিক ঘটনাগুলো তুলে ধরছি জনগনের সামনে। আমরা বিশ্বাস করি, যে জাতি তার সঠিক ইতিহাস জানে না, সেই জাতি টেকসইভাবে উন্নতি করতে পারে না।”

গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের রিয়াজ উদ্দিন নসু, শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।