৭৫ এর ঘাত‌কেরা আজও ক্ষান্ত হয়‌নি দেশবি‌রোধী ষড়য‌ন্ত্রে লিপ্ত র‌য়ে‌ছে: সাংসদ কামরুল

আপডেট: মার্চ ২৫, ২০২১
0

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭৫ এর ঘাত‌কেরা আজও ক্ষান্ত হয়‌নি দেশবি‌রোধী ষড়য‌ন্ত্রে লিপ্ত র‌য়ে‌ছে ব‌লে মন্তব‌্য ক‌রে‌ছেন সা‌বেক খাদ‌্যসন্ত্রী ও সাংসদ অ‌্যাড. কামরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে সরকারি হাসপাতাল মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ব্যতিক্রমী এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে (অনলাইন) তিনি এই মন্তব‌্য ক‌রেন।

এই আয়োজনে ইতিহাসখ্যাত ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি, কারাগারের বঙ্গবন্ধু সেল, জাতীয় স্মৃতিসৌধ রেপ্লিকা নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রদর্শনী কর্ণার, শিশু কর্ণার, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন নিয়ে স্থিরচিত্র প্রদর্শনীসহ বৈচিত্রময় আয়োজন করা হয়েছে।

কাল ২৬ এবং ২৭ মার্চ এই কর্মসূচি পালন করা হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কামরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ঘাতকদের বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন। কালের বিবর্তনে অনেকেই এই ইতিহাস মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা পারেনি। এখন কামরাঙ্গীরচরে এই আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিও জানান।

কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এই আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলার ইতিহাসে এক অমর স্বাক্ষী হয়ে অধিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কামরাঙ্গীরচর। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা কারাগারের যে কক্ষটিতে থাকতেন অনেকেরই তা দেখার সুযোগ হয়নি। অনেকের সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের কথা শুনেছেন, কিন্তু ফুল দেওয়ার সুভাগ্য হয়নি।

তাদের মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কামরাঙ্গীরচরে এই আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় সংসদ কামরুল ইসলাম। এ ধরনের আয়োজন করায় ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস সাধুবাদ জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা-২ আসনের সাংসদ কামরুল ইসলামের ছেলে তানজীব ইসলাম অদিত, দক্ষিণ সিটি করপোরশনের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরে আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।