৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টন থেকে পুলিশে গ্রেফতারের পর এখনো ৩ নেতার হদিস পায়নি বিএনপি

আপডেট: ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
0
file photo
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স

বিএনপি ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থলকে কেন্দ্র করে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় এখনো তিনজন নেতার সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছে দলটি।

ওই দিন বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে অনেক নেতাকর্মীর সন্ধান মিলছে না বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।

এর মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোসাব্বির, নেত্রকোনার তেলিগাতি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আতাউর রহমান ও রাজশাহীর কেশরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী এনামুল হকসহ আরো অনেকে রয়েছেন। তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বলে প্রিন্স জানান।

আজিজুর রহমান মোসাব্বিরের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম জানান, গত বুধবার সংঘর্ষের পরের দিন উত্তরার একটি হাসপাতাল থেকে মোসাব্বিরকে পুলিশ আটক করে। ওই দিন দুপুরে তিনি তেজগাঁও থানায় তার জন্য খাবার দেন, সন্ধ্যায় ১২ বছরের সন্তান সম্রাট থানার মধ্যে তাকে কাপড়-চোপড় দেন। পরে আবার রাতে তাকে খাবারও দেয়া হয়। কিন্তু পরের দিন শুক্রবার থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশও স্বীকার করছে না, আদালতেও হস্তান্তর করা হয়নি এখন পর্যন্ত।

নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের নেতা আতাউর রহমান সংঘর্ষের ঘটনার দিন থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। তাকেও আটক কিংবা আদালতে নেয়ার কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি বলে এমরান সালেহ প্রিন্স জানান।

তিনি জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মূলত এখন একটি ধ্বংসস্তুপ। তাদের দাফতরিক কাজের সকল কম্পিউটার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ কারণে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারাদেশে কত মামলা-গ্রেফতার হয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যন তাদের কাছে নেই। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মামলা-হামলার সেলের কম্পিউটার পুলিশ জব্দ করে এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষের দিন এই সেলের দায়িত্বে থাকা কার্যালয়ের কর্মকর্তা সেলিমকেও পুলিশ আটক করে। এছাড়া দফতরের দায়িত্বে থাকা দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকেও পুলিশ গ্রেফতার করে। এ কারণে মামলা সংক্রান্ত কোনো তথ্যই এখন নেই। তবে তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল বিকেল থেকে এসব তথ্য সংগ্রহের কাজ করছেন।