৭ বছর লুকিয়ে থাকার পর সাইদুল বাবুর্চি খুনের প্রধান আসামী গ্রেফতার

আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২২
0

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুরে চাঞ্চল্যকর সাইদুল বাবুর্চি খুনের মামলার প্রধান আসামী নান্নুকে প্রায় ৭ বছর পলাতক থাকার পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪ এর সদস্যরা। তাকে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার র‍্যাব-৪ এর কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব-৪ এর ওই কর্মকর্তা জানান, গত ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর সকালে গাজীপুর জেলার সাবেক জয়দেবপুর থানাধীন (বর্তমানে কোনাবাড়ি থানা) দেওয়ানবাড়ীর ছায়াতল মার্কেটের পাশের ধানের জমি থেকে গলাকাটা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিহতের স্বজনরা লাশটি কোনাবাড়ি এলাকার একটি কোম্পানীর বাবুর্চি সাইদুল ইসলামের (৩৮) লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন। লাশ উদ্ধারের আগেরদিন নান্নুর সঙ্গে মোটর সাইকেলে চড়ে বাইরে যাওয়ার পর হতে নিখোঁজ হন সাইদুল। ঘটনার পর থেকে নিহতের সহকর্মী নান্নু শেখ ওরফে নূরনবী (৩৭) পলাতক ছিলেন। ওই মামলার প্রধান আসামী নান্নুকে ৭ বছর পলাতক থাকার পর শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত নান্নু শেখ ওরফে নূরনবী (৩৭) এর বাড়ি মাগুড়া জেলায়। সে নিজের নাম ও ঠিকানা গোপন করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে থাকতো। তার বিরুদ্ধে একাধিক খুন, ডাকাতি ও জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।

তিনি আরো জানান, গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকার একই কারখানায় চাকুরি করতেন সাইদুল ও নান্নু। কোম্পানীর স্টাফ কোয়ার্টারে থেকে বাবুর্চি পদে চাকুরী করার পাশাপাশি ফ্যাক্টরির সামনে অস্থায়ী দোকান দিয়ে গেঞ্জি, প্যান্ট ও লুঙ্গি বিক্রি করতেন সাইদুল। তিনি বিদেশে যাওয়ার জন্য ঘটনার মাস খানেক আগে চাকুরি ছেড়ে দেন এবং দোকান মালামালসহ বিক্রি করেন। সাইদুলকে ফুসলিয়ে তার কাছে থাকা দেড় লাখ টাকা ধার নেন নান্নু। পরবর্তীতে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে সাইদুলকে নানাভাবে ঘুরাতে থাকে নান্নু শেখ। এক পর্যায়ে পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে সাইদুলকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় নান্নু। রাতে টাকা পরিশোধ না করে সাইদুলকে গলা কেটে খুন করে নান্নু ও তার সহযোগীরা। নিহতের লাশ দেওয়ানবাড়ীর ছায়াতল মার্কেটের পাশের ধানের জমিতে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে গ্রেফতারকৃত নান্নু।