করোনার প্রভাব মোকাবেলায় হাতে হাত রেখে কাজ করবে একশনএইড বাংলাদেশ ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড

আপডেট: আগস্ট ১২, ২০২১
0

একশনএইড বাংলাদেশ, ঢাকা, ১২ আগস্ট ২০২১ঃ

রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাস এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য ‘মাল্টিপারপাস ক্যাশ গ্র্যান্ট’ প্রদানের লক্ষ্যে একশনএইড বাংলাদেশ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এর সাথে তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) কর্মসূচির আওতায় একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, একশনএইড বাংলাদেশ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এর সহযোগিতায় খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে প্রান্তিক ও ক্ষতিগ্রস্ত যৌনকর্মী এবং অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তিদের ‘মাল্টিপারপাস ক্যাশ গ্র্যান্ট’ বিতরণ করবে। উল্লেখ্য যে, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এখন পর্যন্ত কোভিড -১৯ মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা প্রদান করেছে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একশনএইড বাংলাদেশ এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, হেড অব ফিন্যান্স মোঃ রফিকুল ইসলাম এসিএ এবং হেড অব ফান্ড রেইজিং মারুফ মোহাম্মদ শিহাব।

ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এর পক্ষে কমিউনিকেশনস অ্যান্ড এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান জিয়াউল করিম, কোম্পানি সেক্রেটারি মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বিজনেস ইনফরমেশন সিস্টেমসের প্রধান মোঃ মাসকুর রেজা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একশনএইড বাংলাদেশ গ্রাম ও শহরে দুর্বল এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাথে তাদের অধিকার ও মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
এই ‘মাল্টিপারপাস ক্যাশ গ্র্যান্ট’ বাগেরহাট সদর, মংলা এবং খুলনা সদরে কোভিড- ১৯ এর মধ্যে কোন অনুদান না পাওয়া মোট ১২৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত যৌনকর্মীর মধ্যে বিতরণ করা হবে। এছাড়া, সাতক্ষীরা জেলায় এসিড সন্ত্রাসের শিকার ৭১ ব্যাক্তি যারা আগে দিন মজুরের কাজে নিয়োজিত ছিলেন কিন্তু করোনা মহামির কারণে কাজ হারিয়েছেন তাদের মাঝে এসিড সার্ভাইভার্স নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে এই অনুদান বিতরণ করা হবে।

রাজশাহীর সাপাহার এলাকার, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৪৩০ টি পরিবারও একশনএইড বাংলাদেশ এর লোকাল রাইটস প্রোগ্রাম (এলআরপি) এর অধীনে এই অনুদান পাবেন। এই অনুদান প্যাকেজে একজন ব্যাক্তির ৪ সপ্তাহের প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমন- খাদ্য, ওষুধ, স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী, জ্বালানী সহ অন্যান্য জিনিস ক্রয়ের জন্য ৩০০০ টাকা দেয়া হবে।