নাগেশ্বরীতে বিয়ের দাবীতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কলেজ ছাত্রী

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
0

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বিয়ের দাবী নিয়ে প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে এসে উঠেছেন এক কলেজ ছাত্রী। তার বাড়ি নীলফামারী জেলার নাউতারা গ্রামে। ছেলের পরিবারের লোকজন তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় সে এখন ইউপি চেয়ারম্যানের হেফাজতে আছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে।
এলাকাবাসী জানায়, পুলিশে চাকরি করেন নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা ইউনিয়নের নায়েকের হাট এলাকার মন্ডলপাড়া গ্রামের কুশাই মিয়ার ছেলে রাশেদ মিয়া। সে কর্মস্থলে থাকলেও ৫ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় বিয়ের দাবীতে তার বাড়ীতে আসেন নীলফামারী জেলার নাউতারা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে নীলফামারী ডোমার সরকারি কলেজর অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী লিপি খাতুন। রাশেদের পরিবারের লোকজন তাকে জোর পুর্বক বাড়ির বাইরে বের করে দেয়।
খবর পেয়ে কচাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মেয়টির নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানেই ৩ দিন ধরে অবস্হান করছেন ওই কলেজ ছাত্রী। সে জানায়, ২০১৮ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়ার সময় কেন্দ্রেই রাশেদের সাথে তার পরিচয় হয়। পরে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। এই সুত্র ধরে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তারা আরো ঘনিষ্ট হয়। এক পর্যায়ে সে রাশেদকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে আজকাল করে তাকে ঘোরাতে থাকেন। গত ৩ মাস আগে অন্যত্র বদলী হলে সে সম্পুর্নই যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে আমি বিয়ের দাবীতে তার বাড়িতে এসেছি।
এ ব্যাপারে রাশেদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন থেকে মেয়েটি রাশেদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে জোড় পুর্বক তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে আসছে। আমার ছোট ভাইয়ের সাথে তার কোন প্রেমের সম্পর্ক নেই। তাছাড়া রাশেদকে গত দু’বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়া হয়েছে। মেয়েটি রাশেদসহ আমাদের বিপদে ফেলতে আমদের বাড়িতে চলে এসেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল জানান, মেয়েটির নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে তাকে আমি আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি। মেয়ের পরিবাররের লোকজনকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা আসলে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করা হবে।
কচাকাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
###
আমিনুর রহমান বাবু