হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রধান মুফতি আল্লামা মুফতি নূর আহমদের ইন্তিকাল

আপডেট: মার্চ ৩১, ২০২৩
0

জামিয়া আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান মুফতি ও মুহাদ্দিস, বাহরুল উলূম হযরত আল্লামা মুফতি নূর আহমদ সাহেব ইন্তিকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন।

ইন্তিকালের সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ (৩১ মার্চ) শুক্রবার ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম মহানগরীর বেসরকারী একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেন।

আল্লামা মুফতি নূর আহমদ (রহ.)এর নামাযে জানাযা আজ (৩১ মার্চ) শুক্রবার বাদ আছর দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাযা শেষে তাঁর লাশ মাকবারায়ে জামিয়ায় দাফন করা হবে।

আল্লামা মুফতি নূর আহমদ (রহ.) দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীতে হাদীস, ইলমে ফিকহ ও ইলমে তাফসীরের শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। একই সাথে তিনি দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার ফতোয়া বিভাগের প্রধান ছিলেন। তাঁকে বাহরুল উলূম তথা জ্ঞানের সাগর বলা হতো। তিনি ইলমে তাফসীর, ইলমে হাদীস ও ইলমে ফিকহ’সহ সকল বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। গত বছর মুফতিয়ে আযম আল্লামা মুফতি আবদুচ্ছালাম চাটগামী (রহ.)এর ইন্তিকালের পর হযরত আল্লামা মুফতি নূর আহমদ (রহ.)কে মুফতিয়ে আযম বিবেচনা করা হতো।

আল্লামা মুফতি নূর আহমদ (রহ.) হযরত মুফতিয়ে আযম আল্লামা ফয়জেুল্লাহ (রাহ.) ও মুফতিয়ে আযম আল্লামা আহমাদুল হক (রহ.)এর বিশেষ সহচর্য প্রাপ্ত ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজার হাজার ধর্মীয় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান তথা ফতোয়া দিয়েছেন। তিনি ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে এবং বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ ও বিদআতের খণ্ডনে অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন। তন্মধ্যে ৪ খন্ডে প্রকাশিত ‘আশরাফুল ফাতাওয়া’ সবিশেষ উল্লেখযোগ্য।

এদিকে আল্লামা মুফতি নূর আহমদ (রহ.)এর ইন্তিকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন জামিয়া দারুল উলূম হাটহাজারীর মহাপরিচালক হযরত আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, সহযোগী পরিচালক আল্লামা মুফতি জসিমুদ্দীন ও শিক্ষাসচিব আল্লামা কবীর আহমদ। তাঁরা মরহুমের মাগফিরাত ও জান্নাতে উঁচু মাকামের জন্য দোয়া করেন এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যসহ মরহুমের ভক্ত ও মুতাআল্লিকীনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আল্লামা মুফতি নূর আহমদ (রহ.)এর স্বহস্থে লিখিত সংক্ষিপ্ত জীবনী:

নাম ও বংশ: অধম বান্দা নূর আহমদ বিন শেখ আব্দুস সামাদ বিন শেখ ইজ্জত আলী ৷

গ্রাম, চেছুরিয়া চৌধুরীপাড়া, থানা বাঁশখালী, জেলা, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ৷

পিতা সম্পর্কে: আমার ওয়ালিদে মুহতারাম শেখ আব্দুস সামাদ অত্যন্ত দ্বীনদার এবং প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি ছিলেন ৷ চলাফেরা ছিল একদম সাদাসিদা ৷ গ্রামের যে কোন সালিশে আমার বাবাকে আমিরে ফয়সাল(বিচারপতি) বানানো হতো ৷ তিনি গরিব-অসহায়দের প্রতি খুব দয়ালু ছিলেন ৷ তাদের ঘরের বাজার-সদায় করে দিতেন ৷ (নব্বই)৯০ বছরের-ও অধিক হায়াৎ পেয়েছিলেন ৷ ১৪০৯হিজরীতে ইন্তেকাল করেন ৷ (আল্লাহ্ আমার বাবাকে ক্ষমা করে জান্নাতবাসী করুন, আমিন! )

মাতা সম্পর্কে:- আমার মাতা মরহুমা আরেফা খাতুন অত্যন্ত দ্বীনদার নেককার পূন্যবতী মহিলা ছিলেন ৷ তিনি প্রায় ৮০(আশি) বছরের-ও অধিক হায়াত পেয়েছিলেন ৷ ১৪১০হিজরীতে ইন্তেকাল করেন ৷
(আল্লাহ্ আমার আম্মাজানকে ক্ষমা করে জান্নাতবাসী করুন, আমিন! )

জন্ম: মুহতারামা আম্মাজান বলেছেন, আমার ভাই-বোন যারা জম্ম গ্রহন করেছিলেন তারা সবাই খুব স্বল্প হায়াত পেয়েছিল ৷ যা নিয়ে তিনি খুবই ভারাক্রারান্ত ছিলেন , পরিশেষে তিনি আফসোসের সহিত এই মান্নত করলেন যে, হে আল্লাহ্, এবার সন্তান হলে, তাকে আলেম বানাবো ৷ তার আয়-রোজগার খাব না ৷ তারপর সম্ভাব্য ১৩৫৪হিজরীতে আমার জম্ম হয়৷

প্রাথমিক শিক্ষা: আমার শ্রদ্ধেয় আব্বাজান চার বছর বয়সে আমাকে মকতবে ভর্তি করে দেন ৷ মাও.আব্দুল মালেক রহ্. এর কাছে ৷ তারপর মাও. রাশেদ সাহেব রহ্. এর কাছে আমপাড়া পড়ি ৷ তারপর বৈলচড়ি মাদরাসায় ভর্তি করে দেওয়া হয়৷ (যাকে বর্তমান স্কুল বানানো হয়েছে)।

সেখানে তখন হযরত মাও. আব্দুল লতিফ সাহেব রহ্. ছিলেন ৷ যিনি শাইখুল ইসলাম আল্লামা হাবিবুল্লাহ কুরাইশী রহ্.(বাণীয়ে হাটহাজারী মাদরাসা) এর সাথী ছিলেন ৷ আমি ভর্তি হওয়ার কিছুদিন পর সেটাকে স্কুল বানানো হয়৷ তারপর ” জলদি মাখজানুল উলূম মাদরাসায়” ভর্তি করানো হয় ৷ সেখানে আমি হযরত মাও. মুহা.আলী সাহেব রহ্ এর কাছে ‘কারিমা’ ইত্যাদি পড়ি ৷ মাও.ক্বারী দারাস্তুল্লাহ্ সাহেব রহ্. এর কাছে ‘ইলমে ক্বেরাত’ ‘আজিজুল মুবতাদি’ ‘মিজান’ ‘নাহবেমীর’ ‘হেদায়াতুন্নাহু’ ‘কাফিয়া’ পড়ি ৷

মুরব্বিয়ে আহলে জমান ,উস্তাদুল আসাতিজা, আল্লামা শফিকুল ইসলাম রহ্. এবং মাও. শফিকুর রহমান রহ্. (মৃত্যু: ১৪১৮হি.) প্রকাশ বাঁশখালির বড় হুজুর কাছে ‘পান্দনামা আত্তার’ ‘বোস্তা’ ‘ফুসুলে আকবরী’ পড়েছি৷

মাও. সাঈদ আহমদ রহ্. থেকে ‘শরহে মিয়াতে আমেল’ পড়েছি৷ মাও. মুজাফ্ফর রহ্. এবং মাও. হাশমত আলী রহ্. থেকে অন্যান্য কিতাবাদী পড়েছি ৷ (আল্লাহ সকল উস্তাদদেরকে জাযায়ে খায়ের দান করুন ও জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন৷ )

উচ্চতর শিক্ষার জন্য উম্মুল মাদারিস হাটহাজারীতে গমন:

একদিন আমার মরহুমা আম্মাজান আমাকে বললেন, আমার তো ইচ্ছা ছিল, আমি তোমাকে মাদরাসায় পড়াব, কিন্তু তোমার আত্মিয়-স্বজনদের ইচ্ছা তোমাকে স্কুলে পড়াবে ৷ তখন প্রতিত্তোর বললাম, আম্মাজান! আপনার যেহেতু আমাকে মাদরাসায় পড়ানের ইচ্ছা,তাই আমি কাউকে না জানিয়ে হাটহাজারী মাদরাসায় চলে যাব ৷ আপনি আমার জন্য অস্থির হবেন না ৷ অত:পর আমি ঐ বছর রমজানের পর ঘর থেকে না জানিয়ে হাটহাজারী মাদরাসা অভিমুখে রওনা হই ৷

ভর্তি পরিক্ষা:
১৩৭১হিজরী’র শাওয়াল মাসের ছয় তারিখ হাটহাজারী মাদরাসায় ভর্তি পরিক্ষা ৷ আমার ভর্তি পরিক্ষা পড়ে মাও. মুহাম্মদ আলী সাহেব রহ্.এর নিকট ৷ তখনকার জামানায় হুজুর রহ. এর কাছে পরিক্ষা কঠিন হওয়া বিষয়ে প্রসিদ্ধ ছিল৷সুতরাং আমার এলাকার কিছু সাথী ভাই আমাকে বলল যে, আজকে ভর্তি পরিক্ষা দিও না, কেননা হুজুর রহ্.এর কাছে পরিক্ষা দিয়ে ভর্তি হওয়া বড্ড দুষ্কর৷ আগামীকাল ঐ ফরম অন্য হুজুরের কাছে চলে যাবে , তখন পরিক্ষা দিও ৷ আশা করি কামিয়াব হবে ৷আমি তাদেরকে বললাম, কি প্রয়োজন ! যদি হুজুরের কাছে ভর্তি পরিক্ষা দিয়ে কামিয়াব না হই, তাতে কোন সমস্যা নেই৷ হুজুর যা পড়তে বলবেন, তাই পড়ব শুধু জামাতের তরাক্কী উদ্দেশ্য না ৷ভাল করে পড়া উদ্দেশ্য ৷ পরিশেষে আমি হুজুরের কামরায় প্রবেশ করলাম৷ আমার সাথে আমার এলাকার সাথী ভাইগুলো গেল, যাতে আমি ভয় না পাই৷ কেননা আমি তখন খুবই ছোট ছিলাম ৷ সম্ভবত আমার বয়স ১২ছিল ৷ রুমে প্রবেশ করার সাথে সাথে হুজুর হাসতে হাসতে বললেন, বাচ্চা! কেন এসেছ ? আমি সালাম দিয়ে বললাম, হুজুর; আমার ভর্তি পরিক্ষা আপনার কাছে ৷হুজুর বললেন, কি পরিক্ষা? আমি বললাম, ‘কাফিয়া’ ‘কুদুরী’ ইত্যাদি ৷ হুজুর বললেন, আচ্ছা ভাই, চকিতে বসে যাও ৷ আমি হুকুম পালনার্থে একদম হুজুরের স:নিকটে গিয়ে বসে পড়লাম ৷ হুজুর ‘কাফিয়া’ খুলে আমার সামনে রেখে বললেন , পড়! আমি দেখলাম, পড়তে বলেছেন, তা ছিল একদম শুরুতেই, ইসমের বর্ণনা৷ ৷ আমি “الإسم مادل” থেকে শুরু করে ” الإسناد اليه” পর্যন্ত পুরো এবারত এক নিশ্বা:সে পড়ে ফেললাম ৷হুজুর বললেন,উর্দূ তরজমা কর ৷ আমি তরজমা করলাম ৷ অত:পর বললেন “في نفسه” এর জমিরের মার’জা কি বল? আমি বললাম মার’জা ‘مادلّ’ -ও হতে পারে এবং ‘معني’ -ও হতে পারে ৷ উভয়টির উদ্দেশ্য এক ৷ অর্থাৎ “استقلال بالمفهومية” ৷

অত:পর বললেন, ” والاسناد اليه” এর মার’জা কি? আমি বললাম, হুজুর ভূলে গিয়েছি ৷ তারপর বললেন, মেরকাত নাও! ‘جنس’ও ‘فصل’ এর সংঙ্গা বল? আমি উভয়টার সংঙ্গা বলেছিলাম ৷ (মনে নেই, সঠিক হয়েছিল কিনা,তবে আমার প্রবল ধারণা সহিহ হয়েছিল৷)অত:পর আমি হুজুরের অনুমতিক্রমে ‘কানয’ জামাতে ভর্তি হয়ে পড়ি৷

কানয-দাওরা (মাধ্যমিক শিক্ষা)

অত:পর আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে পড়া শুরু করি ৷

১. সাবেক মুহতামিম হযরতুল আল্লাম মাও. মুহা.হাফেজ হামেদ সাহেব রহ.এর কাছে পড়েছি।

শরহে জামী, মুতাওয়াল, জালালাইন শরিফ প্রথম খন্ড, আবু দাউদ শরিফ, বায়যবি শরিফ তৃতীয় খন্ড, বায়যবি শরিফ সূরা বাকারা, ৷

২.হযরত মাও. হাফিজুর রহমান রহ. এর কাছে পড়েছি , উসূলুশ শাশী, দেওয়ানে আলী, মেশকাত শরিফ দ্বিতীয় খন্ড, ইবনে কাছির দ্বিতীয় খন্ড৷

৩.শায়খুল আদীব মাও. নজির আহমদ আনওয়ারি রহ. এর কাছে পড়েছি ৷
শরহে বেকায়া, কাজী হামদাল্লাহ্, জালালাইন শরিফ দ্বিতীয় খন্ড, মুয়াত্তা মুহাম্মাদ রহ, ৷

৪. মাও. নাদেরুজ্জামান রহ. এর কাছে পড়েছি, হেদায়া প্রথম খন্ড, শরহে তাহযীব ৷

৫. মুফতি আজম সানি মুফতি আহমদুল হক্ব সাহেব রহ. এর কাছে পড়েছি, কুতবি, তাওযিহ্, মুসাল্লামুস সুবুত, মুসলিম শরিফ, ইবনে কাছির প্রথম খন্ড , তাফসিরে মাদারিক, ফাতওয়ায়ে শামী ৷

৬. শাইখুল হাদীস মাও. আব্দুল আযিয রহ. এর কাছে পড়েছি,
মায়বুযি, শরহে মাওয়াকিফ, শরহে আক্বায়েদ জালালী, খিয়ালী, দেওয়ানে হামাসাহ্, তিরমিযি শরিফ, বায়যবি বাকারাহ্ ৷

৭. মাও. মুহাম্মদ আলী সাহেব রহ্.এর কাছে পড়েছি , মুখতাসারুল মা’আনী, শরহে আক্বায়েদ নাসাফি, ইবনে মাজাহ্ শরিফ, মেশকাত শরিফ প্রথম খন্ড ৷

৮. মাও. আবুল হাসান রহ্.(তানজিমুল আশতাতের লেখক) এর কাছে পড়েছি , সুল্লামুল উলূম, মুল্লা হাসান, সদরা, শামসে বাজাগাহ্, কাজি মুবারক, হামদাল্লাহ্, মুসাল্লামুস সুবুত, বয়যবি শরিফ প্রথম খন্ড, বায়যবি বাকারাহ্, নাসায়ী শরিফ, ত্বহাবী শরিফ, হেদায়া আখেরাইন, সাবয়ে মুআল্লাকাত ইত্যাদি ৷

৯. শাইখুল হাদীস মাও. আব্দুল কাইয়ুম সাহেব রহ. এর কাছে পড়েছি,
বুখারি শরীফ, সদরা, শামসে বাজেগাহ্, তাসরিহ্, শরহে ছুগমীনি, উকলিদস, সাবয়ে শাদ্দাদ ৷

১০. সাবেক মুহতামিম মাও.আব্দুল ওয়াহহাব রহ. এর কাছে দরসান ‘সিরাজি’ পড়েছি ৷

১১. মুফতিয়ে আজম বাংলাদেশ মুজাদ্দিদে মিল্লাত মুসলিহে উম্মাত মুফতি ফয়জুল্লাহ্ রহ. এর কাছে পড়েছি, বুখারী শরিফ, মুসলিম শরিফ, সুনানে আরবা’আ, শামায়েলে তিরমিযি, মুসনদে আহমদ, মুসনদে দারেমী শরিফ, ফয়জুল কালাম, হেদায়াতুল ইবাদ, সিরাজি, উসূলুশ শাশী, বায়যবি শরিফ বাকারা, দেওয়ানে হাফেজ, মসনবী শরিফ, মুহাব্বত নামা, শরহে উকুদ রসমুল মুফতি, শরহে জামী বহসে ফেল, সাবয়ে মুআল্লাকাত, রসায়েলে ইবনে আবেদীন, ইত্যাদি ৷

কর্মজীবন: দাওরা, তাফসির এর ফারাগতের পরে (সম্ভাব্য ১৩৮০হিজরীতে) তামরিনে ইফতার পাশাপাশি উম্মুল মাদারিসের খেদমতের মধ্য দিয়ে কর্মজীবনের সূচনা হয় ৷ তখন উসূলুশ শাশী, শরহে তাহযিব, কাফিয়া’সহ্ আরো কিছু কিতাব দরসদানের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল ৷

অত:পর আমার শায়খ মুজাদ্দীদে মিল্লাত মুফতিয়ে আযম মুফতি ফয়জুল্লাহ্ রহ্. এর নির্দেশক্রমে ১৩৮৭ হিজরীতে “মাহমুদিয়া মদিনাতুল উলূম বাথুয়া মাদরাসায়” শিক্ষক হিসেবে খেদমতের সুযোগ হয়েছে ৷ এবং সেখানে ১৪০৩হি. পর্যন্ত বিভিন্ন পদে দায়িত্ব আদায়ের পাশাপাশি দরস ও তাদরীসের খেদমতের-ও সুযোগ হয়েছে৷ আলহামদুলিল্লাহ!

সেখানে “সুল্লামুল উলূম, মুল্লা হাসান, মায়বুযি, শরহে আক্বায়েদ, হেদায়া আওয়ালাইন, হেদায়া আখেরাইন, মেশকাত শরিফ প্রথম খন্ড, মেশকাত শরিফ দ্বিতীয় খন্ড , জালালাইন শরিফ প্রথম খন্ড, জালালাইন শরিফ দ্বিতীয় খন্ড, মুখতাসারুল মাআনী, শরহে জামীসহ আরো অনেক কিতাব পড়ানোর সুযোগ হয়েছে ৷

পূনরায় হাটহাজারীতে নিয়োগদান

অত:পর, ১৪০৩হি. এর শেষের দিকে অর্থাৎ শাওয়াল মাসের ১২তারিখে দারুল উলূম হাটহাজারীতে দরস-তাদরিসের জন্য বান্দাকে পূনরায় নিয়োগ দেওয়া হয় ৷ এখানে বায়যাবি বাকারা, বায়যাবি শরিফ প্রথম খন্ড, বায়যাবি শরিফ দ্বিতীয় খন্ড, বায়যাবি শরিফ তৃতীয় খন্ড, তাফসিরে মাদারিক, তাফসিরে কাশশাফ , ইবনে কাসীর প্রথম খন্ড, ইবনে মাজাহ্ শরিফ,মুয়াত্তা মুহাম্মাদ, মুয়াত্তা মালেক, মুসলিম শরিফ প্রথম খন্ড, মুসলিম শরিফ দ্বিতীয় খন্ড, শরহে আক্বায়েদ নাসাফী, সুল্লামুল উলূম, মুল্লা হাসান, মীর জাহেদ, মুল্লা জালাল, জালালাইন শরিফ , ফাতাওয়ায়ে শামী, আল-আশবাহ্ ওয়ান নাজায়ের শরহে উকুদ রসমুল মুফতি, মুসামারাহ্, আক্বিদাতু তহাবী’সহ্ আরো অনেক কিতাব পড়ানের সুযোগ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ !


উম্মাহ ডট কম থেকে নেয়া