অভিজাত এলাকায় ভবনগুলোতে ৬ মাসের মধ্যে সেপটিক ট্যাংকের ব্যবস্থা না করলে আইনানুগ ব্যাবস্থা…… মেয়র আতিক

আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২১
0

ঢাকাঃ ১৯শে অক্টোবর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ; রোজ- মঙ্গলবার:

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অভিজাত এলাকায় সেপটিক ট্যাংকবিহীন ভবনে ৬ মাসের মধ্যে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক নিশ্চিত করতে না পারলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজ ১৯শে অক্টোবর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ তারিখ রোজ- মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-বনানী এলাকায় পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশন সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনকালে তিনি একথা বলেন। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তাঁর পরিদর্শনকালে বনানীর ১৮ নম্বর রোডের ২৩, ৪২ ও ৪৪ নম্বর বাড়ির কোনটিতেই সেপটিক ট্যাংক পাওয়া যায়নি, ইতোমধ্যে পরিদর্শনকৃত ২১টি ভবনের কোনটিতেই সেপটিক ট্যাংক কিংবা সোক ওয়েল কিছুই ছিলনা।

মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, অপরিকল্পিত ঢাকার অসংখ্য বাসাবাড়ি এমনকি গুলশান, বনানী ও বারিধারার মত অভিজাত এলাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে একটি ডিজিটাল প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
এর আগে সকালে, মোঃ আতিকুল ইসলাম রাজধানীর কাওরান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো কার্যালয়ে “নিরাপদ স্যানিটেশনঃ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় তিনি বলেন, নগরসহ দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এবিষয়ে সকলকে দায়িত্ব পালন করতে হবে, সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, যেসব ভবনে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে, সেসব ভবন মালিকদেরকে ১০ শতাংশ হোল্ডিং কর রেয়াত দেয়া হবে। মোঃ আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, অপরিকল্পিত ঢাকাকে সবাই মিলে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় রূপান্তরিত করতে হবে।