যুদ্ধ শুরু হলে ইসরাইলে প্রতিদিন আঘাত করবে ৩,০০০ ক্ষেপণাস্ত্র

আপডেট: ডিসেম্বর ২০, ২০২১
0

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেয়া একজন শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ভবিষ্যতে যদি সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয় তাহলে প্রতিদিন ইসরাইলে তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানবে। এ ধরনের যুদ্ধ মোকাবেলার জন্য ইসরাইলের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত নয় বলেও ওই জেনারেল মন্তব্য করেন।

ইসরাইলের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল ইজহাক ব্রিকের উদ্ধৃতি দিয়ে মিভজ্যাক লাইভ নিউজ এ খবর দিয়েছে। সাবেক জেনারেল ব্রিক বলেন, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দৃশ্যপট তৈরি হবে সিরিয়া, ইয়েমেন এবং ইরাকে তৎপর ইরানপন্থী গেরিলা গোষ্ঠীগুলোর হামলা। এর পাশাপাশি থাকবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তৎপর হামাস। এইসব গোষ্ঠী ইসরাইল অভিমুখে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাবে এবং গড়ে প্রতিদিন ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তারা তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করবে।

এর আগেও জেনারেল ব্রিক বেশ কয়েকবার সতর্ক করে বলেছেন, বহু ফ্রন্টে একসাথে লড়াই করার মতো অবস্থায় নেই ইসরাইলি বাহিনী। গতমাসে জেনারেল ইজহাক ব্রিক সুস্পষ্ট করে বলেছিলেন, বাস্তবতা হচ্ছে- দিন দিন ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা কমছে এবং এটি কোনো রাগের বহিঃপ্রকাশ নয় বরং এটি বাস্তব সত্য যাকে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।

জেনারেল ব্রিক আরো বলেছিলেন, “নতুন একটি যুদ্ধ আমাদেরকে বহু বছর পিছিয়ে দেবে। আগের যুদ্ধগুলোতে আমরা যে ধরনের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছি, ভবিষ্যতের যুদ্ধে তুলনায় তা কিছুই না।”

এর আগে গত মে মাসে ইসরাইলের এই সাবেক সামরিক কর্মকর্তা বলেছিলেন, যেকোন যুদ্ধে বিমান বাহিনী ইসরাইলের জন্য বিজয়ীর ভূমিকা রাখবে বলে যে বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল তা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরাইল এবং গাজাভিত্তিক হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের ১১ দিনের যুদ্ধের অবসানের পর তিনি এই মন্তব্য করেছিলেন। ওই যুদ্ধে হামাস এবং ইসলামি জিহাদ আন্দোলন ইসরাইল অভিমুখে চার হাজার রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল। এছাড়া, গাজা থেকে ড্রোন ব্যবহার করেও ইসরাইলেল ওপর হামলা চালানো হয়।#