গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজধানীতে পদযাত্রার চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
0

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দা্বিতে রাজধানীতে পদযাত্রার চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিনের উদ্যোগে রাজধানীতে চারদিন এই কর্মসূচি হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

কর্মসূচি হচ্ছে: দুপুরে ২টায় মহানগর উত্তরের উদ্যোগে ২৮ জানুয়ারি বাড্ডায় সুবাস্তু ভ্যালিতে থেকে শুরু হয়ে মালিবাগে আবুল হোটেলের সামনে এবং ৩১ জানুয়ারি গাবতলী টার্মিনাল থেকে শুরু হয়ে মিরপুর-১ নং হয়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে এসে শেষ হবে।

দুপুর ২টায় মহানগর দক্ষিনের উদ্যোগে ৩০ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ি থেকে শ্যামপুর এবং ১ ফেব্রুয়ারি বাড্ডা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ এই পদযাত্রা হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবিতে। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচি হবে। আমরা আশা করবো, সকলে এতে সহযোগিতা করবেন এবং জনগন স্বতোস্ফূর্তভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করবে।”

তিনি জানান, এই কর্মসূচি মহানগর বিএনপির। এটা অন্যান্য দলকেও বলব যে, তারা অংশ গ্রহন করতে চাইলে যুগপতভাবে করবেন।

‘বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন: আন্দোলনে ছুরিকাঘাতের মতো’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘ আমরা খুব অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করছি একটি পার্টিকুলার চ্যানেল আমি না বলতে বাধ্য হচ্ছি ‘সময়’ চ্যানেল একটা ফিচার প্রচার করেছে যেটা কোনো মতেই সুস্থ সাংবাদিকতার সঙ্গে যায় না, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার সঙ্গে যায় না, কোনো মতেই বর্তমানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলনে সেই আন্দোলনের পেছনে একটা ছুরিকাঘাত করার মতো এবং পুরোপুরিভাবে একটা পক্ষ অবলম্বন করা।”

‘‘ যখন দেশের টিভি চ্যানেল বা জাতীয় পত্র-পত্রিকাগুলো চলমান আন্দোলনকে নিসন্দেহে তারা জনগনের কথা তুলে ধরছেন, জনগনের পক্ষে কথা বলছেন। সেই সময়ে হঠাত এই সময়ে ‘সময়’ চ্যানেলের এই ধরনে ডকুমেন্টারি প্রচার করা এটা নিসন্দেহে আমি মনে এটা অনভিপ্রেত। এটা একেবারে মিথ্যা প্রচার ও আন্দোলনের পেছনে ছুরিকাঘাত করার মতো। আমি আশা করব সময় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এই প্রতিবেদন বা ডকুমেন্টারির প্রচার সম্পূর্ণ বন্ধ করবেন এবং এই ধরনের বিদ্বেষমূলক প্রচার না হয় সেদিকে তারা খেয়াল রাখবেন।”

তিনি বলেন, ‘‘ সময় চ্যানেল কিন্তু একটি মেইন স্টিম চ্যানেল এবং এদেশের মানুষ এটাকে অনেকসময় বিশ্বাস করে আস্থায় রাখে। সেক্ষেত্রে একটা বৃহত্তম রাজনৈতিক দল তার নেতা-নেত্রী বিশেষ করে যে দলের নেত্রী যিনি অতীতে তিনবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। আমরা বার বার বলেছি, তাকে কারাগারে নেওয়া, তাকে সাজা দেওয়া এর সবটাই হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সাজানো ঘটনার মধ্য দিয়ে।”

‘‘ একইভাবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যা্ন তারেক রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে যতগুলো মামলা হয়েছে সেই মামলা সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট করে বলেছি এই সব মামলা সাজানো এবং তাকে শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হেয় করা এবং তিনি যেন রাজনীতিতে অংশ গ্রহন করতে না পারেন সেজন্য করা হয়েছে। এসব বলার পরও ‘সময়’ এর এই বিদ্বেষমূলক প্রচারনা ফ্যাসিবাদকেই শক্তিশালী করবে। আশা করি তারা এটা থেকে বিরত থাকবেন।”

সংবাদ সম্মেলনে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, মো. মোহন, যুব দলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মওলা শাহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল,শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, মতস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবদুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, জাসাসের লিয়াকত আলী, জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে যৌথ সভা হয়।