দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে———এটিএম মা’ছুম

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা এটিএম মা’ছুম বলেছেন, জনগণ আজ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার। দেশের মানুষ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ভিন দেশী সংস্কৃতি এদেশের আপামর জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার ও বিভিন্ন স্বার্থান্বেসী মহল। সামগ্রীকভাবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান-এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান-এর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি গোলাম রব্বানী, লস্কর মোঃ তসলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খান, মাস্টার শফিকুল আলম, মুজিবুর রহমান ভূইয়া ও মনসুর আহমদ প্রমুখ।

এটিএম মা’ছুম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সর্বপ্রথম এদেশের দেশপ্রেমিক নেতৃবৃন্দকে রাজনৈতিক মাঠ সরিয়ে দেওয়ার নীল নকশা বাস্তবায়ন শুরু করে। বিচারের নামে প্রহসন চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের ইসলামপন্থীদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে। সেদিন যারা এই অন্যায় দেখে চুপ ছিল, আজকে তারা সরকারে অন্যায় আচরণের শিকার হচ্ছে। আমাদের ওপর জুলুম-নির্যাতনে তারা চুপ থাকলেও আমরা তাদের ওপর চলা অন্যায় নির্যাতনের সরব প্রতিবাদ করেছি। আমরা মনে করি রাতের আধাঁরে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া স্বৈরাশাসককে বিদায় করতে হলে দল-মত ভুলে গিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে। অন্যথায় দেশের মানুষকে এই দুঃশাসন আরও দীর্ঘ দিন ভোগ করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে ধর্মবিমুখ করতে উঠে পড়ে লেগেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন ধর্মের দিকে ধাবিত হতে না পারে সেজন্য পাঠ্যপুস্তুকে ধর্ম বিদ্বেষী, নাস্তিক, মুরতাদদের লেখা দিয়ে পাঠ্যপুস্তুক তৈরি করেছে। বিশেষত গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ইসলামী ভাবধারায় বিশ্বাসী লেখকদের লেখা বাদ দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানের নামে বির্তকিত মতবাদ দিয়ে কোমলমতি শিশুদের মনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশ থেকে দুঃশাসন, নিপীড়ন, জুলুম নির্যাতনের অবসানের জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ শ্রমজীবী। রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের জন্য বাতিল শক্তিরা তাদের ওপর ভর করে। শ্রমজীবী মানুষদের ভুল বুঝিয়ে তারা ক্ষমতার মসনদ দখল করে। এইবার আর সেই সুযোগ তাদের দেওয়া যাবে না। শ্রমিক কল্যাণের পতাকাতলে শ্রমজীবী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তাদের সাথে নিয়ে দেশে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, দেশে বিভিন্ন সরকার আসে আবার চলে যায়। কিন্তু মেহনতি শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। দেশে শ্রমিকবান্ধব সরকার প্রতিষ্ঠিত না হলে শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। ইসলাম ছাড়া শ্রমজীবী মানুষের মুক্তি অসম্ভব। সর্বপ্রথম শ্রমজীবী মানুষের কাছে এই সত্য তুলে ধরতে হবে। অতঃপর তাদের নিয়ে ইসলামী শ্রমনীতির আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।