আ’লীগের হাতে বারবার কাটাছেঁড়া সংবিধান জনগনের সংবিধান নয় — – কুমিল্লায় হাবিব-উন-নবী খান সোহেল

আপডেট: আগস্ট ২৭, ২০২৩
0

কুমিল্লা থেকে ডা.জাকারিয়া চৌধুরী :

শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তিকরণ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একদফা দাবিতে শনিবার ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত কুমিল্লা মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিলের আগে এক সমাবেশে হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এসব কথা বলেছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল যা বলেছেন তা হুবুহু দেশ জনতা ডটকমের পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো —-

ভাইয়েরা আমার, আজ কথা বলব সংবিধান নিয়ে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে জনাব হাবিবুন নবী খান সোহেল সোহেল বলেন – ‘ উনারা সংবিধানের বাইরে কোন ভাবেই যাবেন না। কথা হল সংবিধান কিন্তু কোন সংবিধান ? প্রশ্নটি তিনি ছুঁড়ে দেন সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে। এ সময় উপস্থিত জনগণকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায় – ভুয়া ভুয়া ভুয়া শব্দের কোরাস। জনগণের উদ্দেশ্যে হাত তুলে থামিয়ে দিয়ে তিনি বলেন – এরা কেবল কাটেন আর জোড়া দেন,কাটেন আর জোড়া দেন। কেন কেন কেন ? কেউ যদি এ প্রশ্ন করেন তবে তার উত্তর পাবেন, আরে মিয়া আমি তো আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চাই। কাটাকুটি তে সিদ্ধহস্ত সেসময়ের কালো বিড়াল খ্যাত এক রাজনীতিবিদ কে ডাকা হল। তারপর সেই সংবিধানকে কাটা হলো, কেটে ছেড়ে আরেকটা সংবিধান বানানো হলো। আজীবন ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত হলো। আরে !! এই সংবিধান কি জনগণের সংবিধান ? সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে এ প্রশ্ন ছুড়ে দেন জনাব হাবিবুর নবী খান সোহেল। তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন এ সংবিধান আজীবন ক্ষমতায় থাকার সংবিধান, এ সংবিধান কেবলমাত্র একজনের খায়েস পূরণের সংবিধান।

আরে ভাই, যেদিন এই সংবিধান বাংলাদেশে পাশ হয়েছে, সেদিনই এদেশের জনগণ এই ওই পুস্তিকাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সংবিধান জনগণের সংবিধান কোন ক্ষেত্রেই নয়। সুতরাং সুতরাং সংবিধানে কি লেখা হলো সেটা আমাদের দেখবার কিছুই নেই। আজ দেশের ১৬ কোটি মানুষ চায় কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটা অংশগ্রহণমূলক এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। তাই পরিষ্কার ভাষায় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই এদেশে যদি নির্বাচন হতে হয় তবে তা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই হতে হবে। এছাড়া এদেশে নির্বাচন হবার কোন পথ নেই। সরকারের সব দরজা জানালা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেছে।

বক্তব্য দীর্ঘায়িত করবো না। অতি সম্প্রতি আমাদের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ব্রিক সম্মেলনে যোগ দিতে লাটবহন নিয়ে গিয়েছিলেন। তার যাবার আগে থেকেই এদেশের এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবি, আমলা কামলা সহ অনেকেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি কি কি অর্জন করে ফিরবেন, তার ফিরিস্তি নিয়ে। সম্মেলনে যাবার পর এদেশের এক শ্রেণীর মিডিয়া প্রচার করল, বিশ্ব নেতারা নাকি ঘুরে ঘুরে তার সাথে দেখা করতে যায়!! অতঃপর একি শুনি ? আমরা শুনতে পাই, ব্রিকস এর সদস্য হবার জন্য তিনি নিজেই নাকি ঘুরে ঘুরে সবার কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এত করেও তিনি বাংলাদেশকে ব্রিকস এর সদস্য বানাতে পারলেন না। কেন পারলেন না? ভারতের বাধায় পারলেন না। ভারত বাংলাদেশকে ব্রিকস এর সদস্য পদ লাভে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাধা কেন? খুব গর্ব করে বললেন এত কিছু দিলেন এত কিছু দিলেন, ভারত নাকি আজীবন মনে রাখবে!! আজ কোথায় সেই মনে রাখা ?’

গতকাল শনিবার ২৬ শে অগাস্ট ২০২৩ ইং সনে কুমিল্লা জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অংগসংগঠন সমুহের ব্যাপক উপস্থিতির মধ্য দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এক দফার দাবিতে একটা বিশাল কালো পতাকা মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।মিছিল পুর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু। উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিভাগীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আমিরুজ্জামান আমির, আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মুজাহিদ চৌধুরী, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের আহবায়ক জনাব হাজী আনোয়ারুল হক, মহানগর যুবদল এর আহবায়ক পাভেল সহ সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ