অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা অরক্ষিত : অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান

আপডেট: জুলাই ২৩, ২০২৩
0

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেছেন, দেশের শ্রমশক্তির প্রায় ৯০ শতাংশ শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে। প্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য শ্রমিক কল্যাণ তহবিলসহ বেশ কিছু সুবিধা আছে। যদিও সব শ্রমিক সেই সুবিধা পান না। অপরদিকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের মজুরির ঠিক-ঠিকানা নেই। এ খাতের শ্রমিকদের জীবন অত্যন্ত অরক্ষিত।

তিনি গত ২০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ফার্নিচার সেক্টরের উদ্যোগে আয়োজিত ফার্নিচার সেক্টরের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন। সেক্টর সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মতিন-এর সভাপতিত্বে ও ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু-এর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, ফার্নিচার সেক্টর নেতা ফারুক আহমেদ।

অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতিত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের দিকে সরকারের কোনো নজর নেই। ফলে এ খাত ও এতে নিয়োজিত শ্রমিকরা সকল ন্যায়সঙ্গত অধিকারা থেকে বঞ্চিত। অপ্রাষ্ঠিনিকখাতে শ্রম আইন মানা হয় না। এখানে ন্যূনতম মজুরির বালাই নেই। এ খাতের শ্রমিকদের বেতন ভাতা অনিয়মিত। ন্যায্য দাবি তারা করতে গেলে মারধরসহ ভয়ভীতি দেখানো হয়। শুধুমাত্র অসংগঠিত হওয়ার কারণে শ্রমিকরা সব জুলুম-নিপীড়ন মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ফানির্চার সেক্টর অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ খাতে অসংখ্য শ্রমিক কাজ করে। যারা শ্রম আইনের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এই শ্রমিকদের সমাজের মূলস্রোতে এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। তার জন্য সর্বপ্রথম তাদের সংগঠিত করতে হবে। এ খাতের শ্রমিকদের দাবি পূরণে মালিকদের সাথে বসতে হবে। সারাদেশে একই মজুরি কাঠামো গঠনের জন্য দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

এডভোকেট আতিকুর রহমান বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা শোষণের শিকার। শ্রমিকদের শোষণ করে মালিকের উন্নতি হয় না। বরং মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মালিকের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে শ্রমিকদের ওপর চলা সকল শোষণ বন্ধ করতে হবে। সকল ধরনের শোষণ-নিপীড়ন বন্ধ করতে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধ হলে তাদের সকল অধিকার আদায় করা সম্ভব হবে।