অমেথিতে রাহুল গান্ধী, বারানসিতে মোদি বনাম প্রিয়ঙ্কা!

আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২৩
0

ভারতের উত্তরপ্রদেশের অমেথি আসন থেকেই ২০২৪ সালের পার্লামেন্ট তথা লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন রাহুল গান্ধী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পর দিনই ঘোষণা করে দিলেন অজয় রাই। পাশাপাশি, আরো একটি তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা ভোটে বারানসিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে যদি দাঁড়াতে চান প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্র, তা হলে তিনি পাশে পাবেন সর্বস্তরের কংগ্রেস কর্মীকে।

আগামী লোকসভা ভোটে সকলের নজর রয়েছে ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশের দিকে। প্রচলিত প্রবাদ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাজপথ উত্তরপ্রদেশ দিয়ে যায়। ২০২৪ সালে ওই রাজ্যের অমেথি আসনে ফিরছেন কেরলের ওয়েনাডের এমপি রাহুল গান্ধী। যে আসনে গত লোকসভা ভোটে তাকে ৫৫ হাজার ভোটে হারতে হয়েছিল অধুনা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির কাছে। তবে রাহুল অমেথির পাশাপাশি ওয়েনাড থেকেও গত লোকসভায় লড়েছিলেন রাহুল।

অমেথি হতাশ করলেও ওয়েনাড থেকে জিতেই লোকসভায় প্রবেশ করেন তিনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েই শুক্রবার অজয় ঘোষণা করে দিলেন, রাহুল অমেঠী থেকে লড়বেন। তিনি বলেন, ‘অবশ্যই রাহুল গান্ধী অমেথি থেকে লড়বেন।’

অমেথি কেন্দ্রে দীর্ঘ দিন কংগ্রেসের রমরমা ছিল। গান্ধী পরিবারের সদস্যেরা টানা জিতে এসেছিলেন অমেথি থেকে। ওই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে। একটা সময় সনিয়া গান্ধী অমেথি থেকে লড়তেন। ২০০৪ সালে তিনি রাহুলকে অমেথি ছেড়ে দেন। সেই থেকে রাহুল অমেথিতে লড়ছেন। কিন্তু শেষ লোকসভায় অমেথিতে হারের পর তিনি কেবলমাত্র ওয়েনাডেরই এমপি। স্বভাবতই কংগ্রেসের অন্দরেও জল্পনা ছিল, রাহুল কি পাকাপাকিভাবে ওয়েনাডেরই এমপি থেকে যেতে চান? এই প্রেক্ষাপটে অজয়ের দাবি ঘিরে শোরগোল শুরু হয়ে গেছে।

শুধু রাহুলই নন, উত্তরপ্রদেশের প্রদেশ সভাপতি মুখ খুলেছেন তার বোন প্রিয়ঙ্কাকে নিয়েও। ইঙ্গিতপূর্ণ ভঙ্গীতে তিনি বলেন, ‘যদি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বারানসি থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তা হলে প্রতিটি কংগ্রেসকর্মী প্রাণ দিয়ে তার জয় নিশ্চিত করবেন।’

প্রিয়ঙ্কার স্বামী বরার্ট ভদ্র সম্প্রতি স্ত্রীর ভোটে লড়া নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘প্রিয়ঙ্কার অবশ্যই লোকসভায় থাকা উচিত। এ জন্য যা যা যোগ্যতা থাকা উচিত, সবই তার রয়েছে। আমার আশা, কংগ্রেস পার্টি এটা স্বীকার করবে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করবে।’

রবার্টের এই মন্তব্যের পরেই প্রিয়ঙ্কার ভোটের ময়দানে লড়াই করার জল্পনায় অক্সিজেন পড়ে। যে জল্পনাকে আরো এক পাল্লা বৃদ্ধি করলেন গত লোকসভায় বারানসিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে লড়া অধুনা প্রদেশ সভাপতি অজয়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা