আগুন পুরোপুরি নেভাতে আরো সময় লাগবে : ফায়ার সার্ভিস

আপডেট: জুন ৬, ২০২২
0

সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনো নিভেনি। ৩৬ ঘণ্টা ধরে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ঘটনাস্থলে কাজ করছে সেনাবাহিনীও।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ডিপোর ভেতরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান।

জানা গেছে, বিএম ডিপোর পশ্চিম অংশে কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলছে। তা ছাড়া আশপাশের আরো কয়েকটি কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ওপর থেকে এসব কনটেইনারে পানি ছিটাচ্ছে। রাসায়নিক মিশ্রিত পানি যাতে সমুদ্রে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সেনা সদস্যেরা কাজ করছেন।

একটি গাড়ির পানি শেষ হলে আরেকটি পাঠানো হচ্ছে। ডিপোর ফটকের সামনে অবস্থান করছে পুলিশের একটি দল। রয়েছে কড়া নিরাপত্তা।

ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখনো আগুন নেভানোর কাজ করছি। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগবে। বিভিন্ন কনটেইনারে এখনো আগুন জ্বলছে, ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমরা সাবধানতার সাথে সেগুলোতে পানি দিচ্ছি। আর যেসব কনটেইনার আগুনে ক্ষতি হয়নি, সেগুলো নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছি।’

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়, আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডিপোর সবগুলো শেডের ভেতরে প্রবেশ করে উদ্ধার অভিযান শুরু করা যায়নি। সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আশঙ্কা, আশপাশে থাকা কনটেইনারগুলোতে রাসায়নিক না থাকলে হয়তো আগুন আর বেশি ছড়াবে না। কিন্তু, রাসায়নিক থাকলে বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে। এসব কনটেইনারে রাসায়নিক রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ঘটনাস্থলে থাকা সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি, তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, ‘আগুন জ্বলছে। এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ধোঁয়াও উঠছে।’

জানা যায়, চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে গত শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন লাগার পর ভয়াবহ কনটেইনার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশত মানুষ নিহত এবং প্রায় চার শতাধিক আহত হন। ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় রাসায়নিক দ্রব্য বিস্ফোরণের কারণে বারবার বিস্ফোরিত হয় কনটেইনার। আগুনের তীব্রতার কারণে প্রথম দিকে কাছেও ঘেঁষতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।