আদর্শ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই —উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান

আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২১
0
????????????????????????????????????

গাজীপুর প্রতিনিধিঃ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, শোষণমুক্ত, আদর্শ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা আবশ্যক। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে সর্বোচ্চ পন্থা হচ্ছে শিক্ষার উৎকর্ষতা নিশ্চিত করা। পুঁজি বাজার বিস্তারের মধ্যদিয়ে নয়, জ্ঞান-বিজ্ঞান বিস্তারের মধ্যদিয়েই একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্যদিয়ে যে বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চাই, সেটি হবে ভিন্ন মাত্রিক। গৎবঁাধা পুঁজি বাজারের সংস্কৃতির যে উন্নয়ন, সেটি আমাদের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের লক্ষ্য নয়। আমাদের লক্ষ্য শোষণমুক্ত, আদর্শ ও কল্যাণকর রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা। সেই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হলে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই।

রবিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) জেনারেল সার্ভিসেস, এস্টেট এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভুইয়া, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শুদ্ধাচার দপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জয়ন্ত ভট্টাচার্য্য। দিনব্যাপী চলা কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

উপাচার্য কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষকে সৎ এবং দক্ষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যক্তি যদি সততা এবং দক্ষতায় অনন্য নজির স্থাপন করতে পারে তাহলে আগামী এক দশকে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঈর্ষর্ণীয় পর্যায়ে পৌঁছাবে। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। ইতোমধ্যেই জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সাফল্য দেখাতে শুরু করেছে। কিন্তু যখনই কোন প্রতিষ্ঠান তার সাফল্যের যাত্রাটা করতে পারে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অন্যদের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং নিজেদের অঙ্গীকার অনেকটা বেড়ে যায়। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব আমাদের।