আবুধাবিতে স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য জমি পেল বাংলাদেশ দূতাবাস

আপডেট: মে ৫, ২০২৩
0

ডেস্ক রিপোর্ট :
আবুধাবিতে স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য জমি পেয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। বুধবার (৩ মে) আবুধাবিতে দু’দেশের রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে এ চুক্তি সম্পন্ন হয়।

এ সময় বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যৌথ কনস্যুলার কমিটি গঠন-সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: আবু জাফর এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএই রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি নিজ নিজ সরকারের পক্ষে আবুধাবির ইউএই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ প্রোটোকল ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। এ সময় ইউএই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইউএই সরকার আবুধাবিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য নতুন কুটনৈতিক জোনে পাঁচ হাজার ৫১৫ বর্গমিটারের একটি প্লট বরাদ্দ দিয়েছে।

এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকার ঢাকাস্থ ইউএই দূতাবাসের জন্য বারিধারায় একটি প্লট বরাদ্দ করে, যার বিনিময়ে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইউএই সরকার চার হাজার ২৪৬ বর্গমিটার সাইজের একটি প্লট আবুধাবিতে বাংলাদেশ দূতবাসের জন্য বরাদ্দ দেয়।

কিন্তু ইউএই-তে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসীকে স্বাচ্ছন্দে কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবা দেয়াসহ অন্যান্য কুটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সুপরিসর দূতাবাস ভবন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় স্থাপনা নির্মাণের জন্য এ জমি অপর্যাপ্ত বিবেচিত হয়। পরে ২০২১ সালে দূতাবাসের পক্ষ থেকে আরো বড় প্লট বরাদ্দের জন্য ইউএই সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়। এরই প্রেক্ষিতে ইউএই সরকার নতুন প্লটটি বরাদ্দ দিয়েছে, যা আগের বরাদ্দ প্লটের চেয়ে আকারে প্রায় এক বিঘা পরিমাণ বড়।

নতুন কুটনৈতিক জোনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন সম্পন্ন হলে ইউএই কর্তৃপক্ষ প্লটটি দূতাবাসের কাছে হস্তান্তরের পর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ী দূতাবাস কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। যেখানে দূতালয়, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, অডিটোরিমসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য অবকাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বাংলাদেশ ও ইউএই-এর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কনস্যুলার কমিটি গঠন-সংক্রন্ত সমঝোতা স্মারকের আওতায় একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন যৌথ কনস্যুলার কমিটিও গঠিত হবে। এ কমিটি নিয়মিত বৈঠকে মিলিত হবে এবং অপর দেশে বসবাসকারী নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবা দ্রুত ও সহজলভ্যকরণ, বিচারাধীন মামলাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জটিল কনস্যুলার সমস্যা পারস্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতা মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষে কাজ করবে। কমিটির কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য তারা প্রয়োজনে এক বা একাধিক সাব-কমিটিও গঠন করতে পারবেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বলেন, ‘আজ এ প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ইউএই-এর মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সর্ম্পকের প্রতিফলন ঘটেছে। ইতোপূর্বে স্বাক্ষরিত অন্যান্য চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক শিগগিরই অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত হবে। পাশাপাশি এদেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের উন্নততর কনস্যুলার সেবা প্রদান ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’