আ’লীগের শাসনামলে কখনোই বিরোধীদলগুলো নিরাপদ নয়: ফখরুল

আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২২
0

বর্তমান সরকার রাজনীতির মাঠে বিরোধী দলকে নির্মূল করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে নির্বাচনের পূর্বে বিরোধী দলকে নির্মূল করার জন্য মামলা দিয়ে মাঠ শূন্য করার চেষ্টা করেছিল। এখন আবার একই চেহারায় আবির্ভূত হয়েছে।’

শুক্রবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৮ সালে নির্বাচনের পূর্বে বিরোধী দলকে নির্মূল করার জন্য, বিরোধীদলের সমস্ত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে মামলা দিয়ে মাঠ শূন্য করার চেষ্টা করেছিল। ১৪ সালে একই ভাবে তারা একই কাজ করেছিল। এখন আবার একই চেহারায় মামলা ভয়-ভীতি ছড়িয়ে বিরোধীদলকে নির্মূল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ২০২৩ সালে যে তথাকথিত নির্বাচন করতে চায়; সেই নির্বাচনে তারা যেন এককভাবে আগের মতই করতে পারে সেই কৌশল তারা অবলম্বন করেছে।

তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক দল নয়। আওয়ামী লীগের অধীনে কখনোই কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। আওয়ামী লীগের শাসনামলে কখনই গণতন্ত্র একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে পারে না। আওয়ামী লীগের শাসনামলে কখনোই রাজনৈতিক দলগুলো নিরাপদ নয়। গণতন্ত্র নিরাপদ নয়ই। আজকে তারা গণতন্ত্রের মোড়ক দিয়ে সম্পূর্ণভাবে একটি কর্তৃত্ববাদী এক নায়কতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী একটা রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭৫ সালে আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। ঠিক একই কায়দায় তারা শুধু এখানে কৌশলটা পরিবর্তন করেছে। তারা এখানে গণতন্ত্রের একটি মোড়ক, লেবাস, সোল পড়েছে আর ভিতরে সম্পূর্ণভাবে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এটা করতে গিয়ে তারা যে ভয়াবহ কাজ করছে। বাংলাদেশের যে আত্মা সোল সেটাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়ে আবারও একই ভাবে বিএনপিকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে। একদিকে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে মূল বিরোধী দলকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে। এছাড়া অন্যান্য বিরোধী দলগুলো যখন কোন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে এসেছে তাদেরকেও একইভাবে মামলা দেয়া হয়েছে।

গত ৬ এপ্রিল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে বিনা উস্কানিতে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় অনেক কর্মীকে মারধরও করা হয়। পরবর্তীতে আদালত চত্বরে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতন অত্যাচার করা হয়।

এখন এই ঘটনায় ৮৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা আরও ২শত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মহানগর দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ এবং সকল থানা সভাপতি ও সম্পাদকের নামে এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য কি, সেই একই কায়দায় অজ্ঞাতনামা। একজন হজে গিয়েছেন আর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই সরকার যতদিন ক্ষমতা থাকবে ততদিন মানুষের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যাবে বলেন বিএনপি মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহবায়ক আব্দুস সালামসহ দক্ষিণ বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।