আ’লীগ দেশের মানুষকে গরীব বানিয়ে দিয়েছে, খাবার না পেয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আত্মহত্যা –রিজভী

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
0
এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী

বানিজ্য মন্ত্রীর বক্তব্য দুর্নীতির পক্ষে জোরালো সাফাই ছাড়া কিছু নয়। কর্মহীনতা, অর্ধাহার, অনাহারক্লিষ্ট দেশবাসীর প্রতি এটি মন্ত্রীর নিষ্ঠুর রসিকতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী।

আজ নয়াপল্টনে দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ”বানিজ্য মন্ত্রী গত পরশু বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারের কিছইু করার নেই’। বানিজ্য মন্ত্রীর বক্তব্যে বোঝা যায়-দেশ চালাচ্ছে না আওয়ামী লীগ, আপনাদের কিছুই করার নেই তাহলে দেশ চালায় কে ? দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি। মাঝে মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব অদৃশ্য শক্তিধরদের বক্তব্য পাওয়া যায়।’

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন-বিএনপি ৫ বছরের ক্ষমতাকালে দেশকে ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ কোন দিক দিয়ে এগিয়েছে সেটির কিছুই বলেননি। আওয়ামী সরকার দেশকে যে পিছনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, সে বিষয়ে কিছুই বলেননি। উনার বক্তব্য শুনে মনে হয়-তিন কোন ‘আজগুবি ইন্সটিটিউট’ এ লেখাপড়া করেছেন। উদ্ভট তথ্য প্রদানের হেড মাস্টার হলেন মিঃ সজীব ওয়াজেদ জয়। ভোটারবিহীন নির্বাচন আর নিশিরাতের নির্বাচন করে গণতন্ত্র হত্যার মাধ্যমে ইয়াহিয়া-টিক্কার মডেলের শাসকদের উপদেষ্টার মুখে এমন কথাই মানায়।
ব্যাংক লুট, দুর্নীতির মাধ্যমে দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা পাচারে যে সরকার দায়ী তাদের উপদেষ্টার মুখে এমন কথাই মানায়। তিনি বিএনপি আমলের দলীয়করণের কথা বলেছেন। অথচ বর্তমানে দলীয়করণের মাধ্যমে প্রশাসনকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন, বিচার বিভাগে দলীয় লোক বসিয়ে বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। সরকারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে রায় দিলে সেই বিচারককেও দেশান্তরিত হতে হয়। আওয়ামী শাসনে ‘ফরমায়েসি রায়’ এখন বিচার বিভাগের রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। এই শতকে সভ্যতার সবচেয়ে বড় সংকট সৃষ্টি করেছে আওয়ামী সরকার। এরা ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আদিম হিং¯্রতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
আওয়ামী লীগ সরকার গত ১২ বছরে দেশের মানুষকে গরীব বানিয়ে দিয়েছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলেছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অপঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা।