আলু-পিয়াজের দাপট শেষ

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১
0

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাজারে আলু-পিয়াজের দাম আরো কমেছে। ৬০ টাকার আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। আর ১২০ টাকার পিয়াজ মাত্র ৩৫ টাকায়।

গত কয়েকমাস যাবৎ আলু-পিয়াজের দাম ক্রেতাদের দারুন ভূগিয়েছে। এমনকি, অনেক মানুষ খুবই অল্প পরিমান এই দু’টি পণ্য কিনে কোনোরকম চলেছেন। সরকারী নির্দেশও এই দু’টি পণ্যের বাজারে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।

গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দোকানগুলোতে দেখা যায় আলু এবং পিয়াজ দু’টো পণ্যের মূল্যই এখন নিম্নমুখী। গতকাল বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায় সর্বোচ্চ ভালো মানের আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। ১৩ টাকায়ও আলু পাওয়া যাচ্ছে। আর ভালো মানের পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। ২৫ টাকায়ও পিয়াজের কেজি পাওয়া যাচ্ছে। তবে তার মান তেমন ভালো না। বাজারে পিয়াজের যোগান এখন অনেক।

রাজধানীর মানিকনগর এলাকার ব্যবসায়ী আবু বকর গতকাল বলেন, দেশী পিয়াজ বাজারে আসছে প্রচুর পরিমান। বাজারে এখন কোনো ঘাটতি নেই। সাধারণ মানুষেরও চাহিদা এই দেশী পিয়াজ। আমদানী করা পিয়াজ কেউ কিনতে চান না। সাধারণত: হোটেলগুলোতে সামান্য কিছু এই পিয়াজের চাহিদা রয়েছে। মানুষ বাসা-বাড়ির জন্য দেশী পিয়াজই কিনছেন।

বাজারে এখন আলুর স্তুপ। ভ্যান বোঝাই করেও আলু বিক্রি হচ্ছে। অথচ মাত্র কয়েকদিন আগেও আলুর মূল্যের দাপটে মানুষ ছিলো অস্থির। অথচ এখন ক্রেতা খুঁজতে হয় এক কেজি আলু বিক্রির জন্য। শিহাব নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে বেশী মূল্য দেখে চাষীরা বিঘায় বিঘায় জমিতে আলু আর পিয়াজ চাষ করেছেন। অনেক চাষী আছেন যারা একই জমিতে একাধিকবার চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন।

তবে বেড়েছে রসুনের দাম। গত সপ্তাহে যে রসুন ছিলো একশ’ টাকা কেজি; গতকাল সেই রসুন বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা। একাধিক দোকানী বলেছেন, বাজারে নতুন পিয়াজ আসলেও রসুন এখনো তেমন আসেনি। যে কারণে বাজার একটু চড়া।