আসাদের আরব আমিরাত সফরে ‘গভীরভাবে হতাশ ও মর্মাহত’ আমেরিকা

আপডেট: মার্চ ২২, ২০২২
0

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বার্তা সংস্থা এএফপিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছেন, “দৃশ্যত বাশার আল-আসাদকে বৈধতা দেয়ার এই প্রচেষ্টায় আমরা গভীরভাবে হতাশ ও মর্মাহত।”

আমেরিকা ও তার মিত্ররা গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে একঘরে করে রাখার জন্য ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসা সত্ত্বেও গত শুক্রবার আরব আমিরাত সফর করেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট। আসাদের এ আকস্মিক সফরে পশ্চিমা দেশগুলো যে হতভম্ব হয়ে গেছে তা নেড প্রাইসের বক্তব্যে ফুঠে উঠেছে।

তিনি ওই বিবৃতিতে আরো বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন যেমনটি বলেছেন, আমরা আসাদকে পুনর্বাসনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি না এবং তার সঙ্গে অন্যদের সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণেরও বিরোধিতা করি।

শুক্রবারের একদিনের সফরে প্রেসিডেন্ট আসাদ আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও দুবাই’র শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রাশিদ আল-মাকতুমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে জায়েদ আল নাহিয়ান সিরিয়াকে ‘আরব বিশ্বের নিরাপত্তার একটি মৌলিক ভিত্তি’ বলে মন্তব্য করেন।

তিনি দু’দেশের নাগরিকদের ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরা সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায়।এছাড়া, দুবাইর শাসক আল-মাকতুম বলেন, প্রেসিডেন্ট আসাদের এ সফর সিরিয়াসহ গোটা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে বলে তিনি আশা করছেন।

সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা চাপিয়ে দেয়ার এক বছর পর ২০১২ সালে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

তবে সিরিয়া সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সফল হলে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দামেস্কে নিজের দূতাবাস পুনরায় চালু করে আবু ধাবি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সে প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদের সাম্প্রতিক সফর দুবাই সফর ছিল সর্বশেষ সংযোজন।#