ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪,৩০০ রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের বাহিনী ১৪৬টি রুশ ট্যাঙ্ক, ২৭টি বিমান ও ২৬টি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত করেছে।
মন্ত্রী হানা মালইয়ার ফেসবুকে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এই দাবি করেন। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
মস্কোর পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। আর আলজাজিরাও এসব তথ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই করতে পারেনি।
সূত্র : আল জাজিরা
যুদ্ধ থামাতে চেয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। তবে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদর আশঙ্কা, তীরে এসে তরী ডুবতে পারে। কেন না আলোচনার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আলোচনাস্থল বেলারুশ।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেই এসেছে আলোচনার প্রস্তাব। যদিও এর আগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজে ইউক্রেনের আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন একবার।
রোববার রাশিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের সাথে তারা আলোচনায় বসতে রাজি। কোথায় আলোচনা বসবে, তা-ও জানিয়ে ক্রেমলিন বলে যে ইউরোপের দেশ বেলারুশে হতে পারে আলোচনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই প্রস্তাবের জবাব আসে ইউক্রেনের তরফেও। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি জানান, তিনিও আলোচনায় বসতে রাজি কিন্তু তার একটি শর্ত আছে।
জেলেনস্কি জানিয়ে দেন, আর যেখানেই হোক তিনি রাশিয়ার সাথে বেলারুশে আলোচনায় বসতে চান না।
কিন্তু কেন বেলারুশে আলোচনায় আপত্তি জেলেনস্কির? ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট অবশ্য তা নিয়ে কোনো জল্পনার অবকাশ রাখেননি। তিনি বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনাস্থল হিসেবে বেলারুশ পছন্দ নয়। কারণ, বেলারুশকে ব্যবহার করেই ইউক্রেনে অনুপ্রবেশ করেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার বেলারুশ-প্রস্তাবের জবাবে পাল্টা জেলেনস্কি আরো পাঁচটি আলোচনার জায়গার নাম বলেছেন। একটি অনলাইন বার্তায় তিনি বলেন, ‘ওয়ারশ, ব্রাতিস্লাভা, বুদাপেস্ট, ইস্তাম্বুল, বাকু- আমরা এই সবক’টি জায়গার প্রস্তাব দিলাম। এর যেকোনো একটিতে আলোচনায় বসা যেতে পারে।’