ইয়েমেনের কারাগারে সৌদি হামলায় হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ

আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২২
0

ইয়েমেনের একটি কারাগারে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর হামলায় অন্ততঃ ৭০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সাদা এলাকার ওই কারাগারে শুক্রবার হামলা করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী।ওই হামলার তদন্তের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘(সেখানে) উত্তেজনার অবসান হওয়া দরকার।’

হুতি বিদ্রোহীর সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে যুদ্ধ করছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী।

এই যুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে, যার মধ্যে ১০ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে।কোটি কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটির বেশিরভাগ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি।

সৌদি জোটের ওই বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেও উদ্ধার কর্মীরা ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মৃতদেহ বের করছিলেন।

বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদদাতা আনা ফস্টার বলেছেন, যতই সময় যাচ্ছে, সেখানে জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশা কমে যাচ্ছে।ওই হামলায় আসলে কতজন নিহত হয়েছে, তা এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।

তবে মেডিসে সঁ ফ্রঁতিয়ে (এমএসএফ) জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

হুতি পরিচালিত টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে, মানুষজন হামলার স্থলে খালি হাতে ইটপাথর সরিয়ে আহত-নিহতদের খুঁজছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালগুলো আহত মানুষজনে ভরে গেছে।

যতই সময় যাচ্ছে, সেখানে জীবিত কাউকে খুঁজে পাওয়ার আশা কমে যাচ্ছে।এমএসএফ জানিয়েছে, একটি হাসপাতালেই অন্তত ২০০ জন আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে।

”যেখানে বিমান হামলা হয়েছে, সেখানে এখনো অনেক মৃতদেহ রয়েছে, যাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি,” এএফপি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন ইয়েমেনে এমএসএফের প্রধান আহমেদ মাহাত।”হামলায় কতজন নিহত হয়েছে, সেটা জানা অসম্ভব। তবে সেখানে সহিংসতার চরম ভীতিকর একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে,”তিনি বলছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিবের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উত্তেজনা নিরসনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।ইয়েমেনের দক্ষিণে আরেকটি বিমান হামলায় ফুটবল খেলারত তিনটি শিশু নিহত হয়েছে।

সেভ দি চিলড্রেনস জানিয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত বন্দর নগরী হুদায়দাহে একটি টেলিযোগাযোগ ভবনে বিমান হামলা চালানো হয়েছে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। একই সময় ইয়েমেন জুড়ে ইন্টারনেট যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেজন্য ওই হামলাকে দায়ী করেছে হুতি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরব জানিয়েছে, তারা হুদায়দাহে বিমান হামলা করেছে। কিন্তু সাদায় হামলার বিষয়ে কোন তথ্য জানায়নি।

সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে হুতি বিদ্রোহীরা ড্রোন আর মিসাইল হামলা চালানোর পর জোট বাহিনী বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে। হুতি বিদ্রোহীদের ওই হামলা আমিরাতের তিনজন বেসামরিক বাসিন্দা নিহত হয়।