একদফার আন্দোলন সফল করতে জীবন দেয়া ছাড়া কোনো পথ নেই—রিজভী

আপডেট: জুলাই ১৯, ২০২৩
0

বিএনপির একদফার আন্দোলন সফল করতে জীবন ও রক্ত দেয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় বগুড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ে বগুড়াসহ সারাদেশে হামলা, গুলির প্রতিবাদে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলো সরকারের পদত্যাগের দাবিতে একদফা ঘোষণার পর সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা রাজনৈতিকভাবে এতটাই হিংস্র হয়ে উঠেছে যে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে নির্বিচারে গুলি করে গণতন্ত্রকামীদের হত্যা ও পঙ্গু করছে। কিন্তু জুলুম নির্যাতন, হামলা, মামলা যতই বাড়বে, হাসিনার পতন ততই ত্বরান্বিত হবে।

তিনি বলেন, বগুড়ায় বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি। তারা ইয়াকুবিয়া স্কুলের ছাত্রীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে অর্ধশতাধিক আহত করেছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

রিজভী বলেন, ঢাকা, ফেনী, লক্ষিপুর, খাগড়াছড়ি, কিশোরগঞ্জ, জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা, গুলিতে কমপক্ষে দুই হাজার মানুষ আহত হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষীপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে কৃষকদল নেতা সজিব হোসেনকে হত্যা করেছে ।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে হিরো আলম একজন অর্ধশিক্ষিত এমপি প্রার্থী তাকেও সহ্য করতে না পেরে প্রকাশ্যে ব্যাপক মারধর করেছে। তাহলে জনগণের বুঝতে বাকি নেই যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে প্রার্থী ও তার কর্মীদের কী অবস্থা হতে পারে। কারণ আওয়ামী লীগের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি নেই। তাই এক দফার আন্দোলন সফল করতে জীবন ও রক্ত দেয়া ছাড়া আর কোনো পথ নেই।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচি পালনে দলের নেতাকর্মী ও গণতন্ত্রকামী মানুষদের রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, সারাদেশের ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে হাই কমান্ড পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। পরে তিনি দলের আহত নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর নেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ উন নবী সালাম ও কেএম খায়রুল বাশার, সদর উপজেলা সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, বিএনপির তৌহিদুল আলম মামুন, ড্যাব নেতা ডাঃ ইউনুস আলী, যুবদলের জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবকদলের আবু হাসান, ছাত্রদলের নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, কৃষকদলের এনামুল হক সুমন প্রমুখ।