তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ব্যাপারে ইতিবাচক মত প্রকাশ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী

আপডেট: জুলাই ১৯, ২০২৩
0
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার, এম.পির সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তামাক উৎপাদনের পরিবর্তে খাদ্য উৎপাদনকে গুরুত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ব্যাপারে ইতিবাচক মত প্রকাশ করেছেন জনাব সাধন চন্দ্র মজুমদার, এম.পি, মাননীয় মন্ত্রী, খাদ্য মন্ত্রণালয়।

তামাক উৎপাদনের পরিবর্তে খাদ্য উৎপাদনকে গুরুত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ব্যাপারে ইতিবাচক মত প্রকাশ করেছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার, এম.পি, মাননীয়মন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রণালয়।

মন্ত্রীবলেন, তামাক চাষ দেশের স্বংয়সম্পূর্ণ খাদ্য উৎপাদনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আইন সংশোধনের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে । তিনি বলেন, তামাকের ব্যবহার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ। এসডিজি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মঙ্গলবার (১৮জুলাই) ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল সাধন চন্দ্রমজুমদার, এম.পি’র সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সাধন চন্দ্র মজুমদার এম.পি,তামাক আইন সংশোধনের বিষয়ে সংসদ সদস্যদের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

স্বাস্থ্যসুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্রম জুমদারএম.পি’র কাছে বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন যা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে সংসদ সদস্যদের গৃহীত পদক্ষেপের রূপরেখা তুলে ধরে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীবরাবর পাঠানো ১৫২ জন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষরিত আরেকটি সুপারিশের চিঠি খাদ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং’ এর প্রতিনিধি দল
তামাক আইন নিয়ন্ত্রনের চূড়ান্ত খসড়া টিকে বিনেটডিভিশন থেকে সংসদে উত্থাপন ও পাশের বিষয়ে মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে তার পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, দেশের প্রায় ৪ কোটির কাছাকাছি মানুষ জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর তামাক ব্যবহার করে। বছরে দেশের প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায় এই তামাক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে। তামাক নিয়ন্ত্রণে ছয়টি বিষয় মাথায় রেখে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রস্তাবিত খসড়ায় রয়েছে, পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা, বিক্রয়স্থলে তামাকদ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, খুচরা বিক্রি বন্ধ করা, সচিত্র স্বাস্থ্যসতর্কতার ওপর জোর দেওয়াএবং ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (এইচটিপি) নিষিদ্ধ করা।