‘একুশে আগস্ট’ আর ‘ওয়ান ইলেভেন’ একই সূত্রে গাঁথা : রিজভী

আপডেট: আগস্ট ২১, ২০২৩
0
এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী

‘একুশে আগস্ট’ আর ‘ওয়ান ইলেভেন’ একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ২১ আগস্টের নৃশংস ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। ‘একুশে আগস্ট’ আর ‘ওয়ান ইলেভেন’ একই সূত্রে গাঁথা। এই নিরেট বাস্তবতার প্রামাণ্য তারেক রহমান সোমবার সকালে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রদত্ত ভাষণে নিজেই তুলে ধরেছেন। তিনি দেশবাসীর সামনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা জনগণের আদালতে উপস্থাপন করেছেন।

আজ সোমবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের নৃশংস ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়ে ক্রমাগত মিথ্যাচার-অপপ্রচার চালিয়ে আসছে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার। দেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেশে বিদেশে জাতীয়তাবাদী শক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একটা ভয়ঙ্কর মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ২১ আগস্টের নৃশংস মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়ে তারেক রহমানকে জড়িয়ে হাইপার-প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছে কতৃর্ত্ববাদী সরকার। জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রধান কণ্ঠস্বর তারেক রহমানকে এই বর্বরোচিত ঘটনায় জড়িয়ে সাজা প্রদানের ঘটনা এক চরম চক্রান্তমূলক অবিচার ও ন্যাক্কারজনক প্রহসনগুলোর অন্যতম বলে মনে করে দেশবাসী।

তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার এক গভীর ষড়যন্ত্রের হাস্যকর প্রচেষ্টা। শেখ হাসিনা জিয়াউর রহমানের পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রতিহিংসা ও জিঘাংসার পথরেখা ধরে এগুচ্ছেন।

রিজভী বলেন, তারেক রহমান দেশের ১৮ কোটি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ১২ কোটি মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করছে বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি, গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি। আন্দোলনকে বাধাগ্রস্থ করতে মাফিয়া সরকার নির্যাতন-নিপীড়ন হামলা মামলায় জড়িয়ে বিরোধী দল ও বিরোধী মতের নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তবে হামলা মামলা করে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যায় না, সাম্প্রতিক বাংলাদেশ তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। এজন্য বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী সাহসী-সংগ্রামী জনগণকে অভিনন্দন জানাই। যাদের সাহসী আন্দোলনে, মাফিয়া চক্রের বুকে কাঁপন ধরেছে। ইতোমধ্যেই তারা ভারসাম্য হারিয়ে আবোল-তাবোল বকতে শুরু করেছে।

তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র। আজকেও ২১ আগস্ট নিয়ে অবান্তর, অসত্য, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে গ্রেনেড হামলার জন্য দায়ী করে আবোল-তাবোল বক্তব্য রেখেছেন। আসলে এই মূহুর্তে আওয়ামী লীগের ঝুলিতে জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় বলেই বিকারগ্রস্ত হয়ে প্রতিহিংসামূলক বক্তব্য রাখছেন। হিংসার রাজনীতিতে ঠাসা আওয়ামী লীগ ও তার নেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চান। তবে বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ জনগণ সকল প্রহসন ও মিথ্যাচারকে পদদলিত করে কতৃর্ত্ববাদের অবসান ঘটিয়ে অতিসত্বর গণতন্ত্রের যুগ শুরু করবে।