একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২৩
0

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৭ আগস্ট) এক শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

শোকবার্তায় সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই মননশীল আধুনিক কবি বাংলা সাহিত্যে তার অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’

এর আগে রোববার (৬ আগস্ট) রাতে ১০টার আগে বরিশালে বোনের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফেরার পথে তার মৃত্যু হয়। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মৃত্যুকালে কবি মোহাম্মদ রফিকের বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

কবির ভাই মোহাম্মদ তারেক জানিয়েছেন, কবি মোহাম্মদ রফিক বরিশালে বোনের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। রোববার রাতে সেখান থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। পথে রাজৈর উপজেলায় আসার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বরেণ্য কবি মোহাম্মদ রফিক ১৯৪৩ সালে বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১০ সালে একুশে পদকপ্রাপ্ত এই কবি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক।

১৯৬০ এর দশকে পাকিস্তান আমলে ছাত্র আন্দোলন ও কবিতায় এবং স্বাধীন বাংলাদেশে আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কাব্যিক রসদ যুগিয়ে বিখ্যাত হয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। ১৯৭০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলার সংসারে এই মাটি’।

বরেণ্য এই কবির উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- কীর্তিনাশা (১৯৭৯), খোলা কবিতা ও কপিলা (১৯৮৩), গাওদিয়ায় (১৯৮৬), স্বদেশী নিশ্বাস তুমিময় (১৯৮৮), মেঘে এবং কাদায় (১৯৯১), রূপকথা কিংবদন্তি (১৯৯৮), মৎস্য গন্ধ্যা (১৯৯৯), মাতি কিসকু (২০০০), বিষখালি সন্ধ্যা (২০০৩), নির্বাচিত কবিতা (২০০৩), কালাপানি (২০০৬), নির্বাচিত কবিতা (২০০৭), নোনাঝাউ (২০০৮), দোমাটির মুখ (২০০৯), ত্রয়ী (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-১ (২০০৯), মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-২ (২০১০)।

মোহাম্মদ রফিক একুশে পদক ছাড়াও বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জেমকন সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি ও পুরস্কার অর্জন করেছেন। এরমধ্যে বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।