প্রকৃত অপরাধী শনাক্ত না হওয়ায় ১০০বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন

আপডেট: আগস্ট ৭, ২০২৩
0

শততম বারের মতো পেছাল সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমার দিন ধার্য করেছেন আদালত। তবে ওই মামলার প্রকৃত অপরাধীরা এখনও শনাক্ত না হওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে দেরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

সোমবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত আমরা অনেক আন্তরিকতার সঙ্গে গুরুত্ব দিয়ে করছি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানিতে ডিএনএ স্যাম্পল পাঠিয়েছি। ওখান থেকে আসা প্রতিবেদনে দুইজন সাসপেক্টের নমুনা পাওয়া গেছে। এই দুইজন সাসপেক্টকে আমরা এখনও শনাক্ত করতে পারিনি। তাদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

আজ ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারিত ছিল। তবে তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) এ দিন প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম নতুন দিন ধার্য করেন।

হত্যাকাণ্ডের সাড়ে ১১ বছর পার হয়ে গেছে। দীর্ঘ এই সময়ে আদালত থেকে দফায় দফায় প্রতিবেদন দাখিল করার সময় বেঁধে দেওয়া হলেও হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পুলিশের এলিট ফোর্স র‍্যাব।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন সকালে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন রাতে নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হওয়ার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনিদের চিহ্নিত করার আশ্বাস দেন। চাঞ্চল্যকর মামলাটির প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম।

২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ডিবি উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলম নতুন করে তদন্তভার নেন। এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ১৮ এপ্রিল তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছেন র‍্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শফিকুল আলম।