কক্সবাজারে পর্যটক ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল গ্রেফতার

আপডেট: ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
0

কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক গ্রেফতার হয়েছেন।

রোববার রাতে মাদারীপুর থেকে তাকে গ্রেফতারর করা হয়।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববাবার ভোরে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। তবে এ ঘটনার এজাহার নামিয় অন্য দুই আসামি ইসরাফিল হুদা জয় ও মেহেদী হাসান বাবু এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।

রোববার ভোরে গ্রেফতার তিনজন হলেন-
কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম সাহাবুদ্দীন (২৫),
কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বাহারছড়ার মৃত সালেহ আহমদের ছেলে মেহেদী হাসান (২১) ও
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবনিয়া গ্রামের মৃত মোক্তার আহমদের ছেলে মামুনুর রশীদ (২৮)।

তারা ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগী ছিলেন বলে জানান পুলিশ।

রোববার দুপুর দেড়টায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ চট্রগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মোসলেম উদ্দিন জানান, তদন্ত সাপেক্ষে তিনজনকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

তিনি জানান, কিশোরগঞ্জের এক বাসিন্দা তার স্ত্রী শিশু সন্তানসহ জীবিকা নির্বাহের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছিল। মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক ও তার সহযোগিরা বিভিন্ন সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও আদায় করে আসছিল। আশিক ও তার সহযোগীদের দাবি করা চাঁদা দিতে না পারায় গত ২২ ডিসেম্বর ওই নারীকে তুলে নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

পুলিশ জানায়, মামলার প্রধান আসামি আশিকের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, ইয়াবা, অস্ত্রসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। ইসরাফিল হুদা জয়ের বিরুদ্ধেও দুটি মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার স্বামী-সন্তানকে জিম্মি ও হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই বার দলবেঁধে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী। অভিযোগ পেয়ে রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজারের কলাতলীর ‘জিয়া গেস্ট ইন’ নামে একটি হোটেল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাব-১৫।

এ ঘটনার পরের দিন জড়িতদের শনাক্ত করে চারজনের নাম উল্লেখ করে আরো তিনজনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের স্বামী। ওইদিন জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক এজাহার নামিয় আসামি রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে গ্রেফতার করে তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। ওই মামলা ট্যুরিস্ট পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।