করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রামণ প্রতিরোধে উপকূলীয় এলাকায় কোস্ট গার্ড মোতায়েন

আপডেট: জুলাই ১, ২০২১
0

সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপি করোনা ভাইরাসের সনাক্ত ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ উপলক্ষ্যে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রামণ রোধকল্পে উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সরকার কর্তৃক জারীকৃত নির্দেশনা সঠিকভাবে প্রয়োগের লক্ষ্যে উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কর্তৃক বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা/পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে নৌ পথে জনসাধারণের চলাচল ও গমনাগমন বাস্তবায়ন এবং জরুরি সেবা ও সরবরাহ যথাসম্ভব স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন নদ-নদী, লঞ্চ ঘাট, ফেরী ঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেলে কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়।

বুধবার (০১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার আমিরুল হক এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের আওতাধীন দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অন্তর্গত গজারিয়া, চাঁদপুর, বক্তাবলী ফেরী ঘাট, হাইমচর, মাওয়া দিয়ে নৌ-পথে সর্বসাধারণের যাতায়াত বন্ধের লক্ষ্যে চেক পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। পূর্ব জোন কর্তৃক চট্টগ্রাম এলাকার অন্তর্গত কর্ণফুলী নদীর মুখ, কুতুবদিয়া চ্যানেল, মহেশখালী চ্যানেল ও টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে নৌ-পথে সর্বসাধারণের যাতায়াত বন্ধের লক্ষ্যে চেক পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। পশ্চিম জোন কর্তৃক মংলার রূপসা, নলিয়ান, মোংলা নালা এবং দক্ষিণ জোন কর্তৃক মজু চৌধুরীর হাট (লক্ষীপুর), ইলিশা ঘাট, বরিশাল লঞ্চ ঘাট এলাকায় চেক পয়েন্ট স্থাপন করা হয়।

এছাড়াও স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বহিনীর সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক ঘোষিত কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সকলের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড এর এখতিয়ারভূক্ত এলাকাসমূহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, ডাকাতি দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় উপক‚লীয় অঞ্চলের জনসাধারণের চলাচল ও গমনাগমন বাস্তবায়ন এবং জরুরি সেবা ও সরবরাহ যথাসম্ভব স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল অব্যাহত থাকবে।