কাল শুরু হচ্ছে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সৈয়দপুরে প্রায় ৪৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে

আপডেট: জুন ৪, ২০২১
0

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ এবারে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ৪৪ হাজার ৯৯৪ জন ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২১ এর মাধ্যমে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ৫ জুন হতে ১৯ জুন পর্যন্ত চলবে এ ক্যাম্পেইন।সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এবারে জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন শুরু হবে আগামী ৫ জুন। আর আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সর্বমোট ১৯৮টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ মাস বয়স থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এর মধ্যে সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকার ৭৭ টি কেন্দ্রে ২৫ হাজার ৭৬৯ জন এবং উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১৯ হাজার ২২৫ জনকে ভিটমিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

এদের মধ্যে ৬ মাস বয়স থেকে এক বছর বয়সী শিশুদের একটি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস অর্থাৎ এক বছর থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে দুইজন করে সর্বমোট ৩৯৬ জন স্বেচ্ছসেবক নিয়োজিত থাকবেন।

এছাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১২১টি কেন্দ্রে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম তদারকির জন্য ১৫ জন সুপারভাইজার দায়িত্ব পালন কবরেন।

এ সংক্রান্ত অবিহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভা গত ১ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু মোঃ আলেমুল বাসারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাসিম আহমেদ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শাহ্জাহান মন্ডল ও সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুল হাসনাত খান।

অবহিতকরণ ও পরিকল্পনা সভার শুরুতেই ভিডিওচিত্রের সাহায্যে ভিটামিন এ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার মোঃ আরমান হোসেন রনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সস’র মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) মোঃ আবু তাহের সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।