কুড়িগ্রামে টাকা না পেয়ে ড্রেজার মেশিনে আগুন পুলিশের এসআই বিক্ষুদ্ধ জনতার হাতে অবরুদ্ধ

আপডেট: আগস্ট ১১, ২০২১
0

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে টাকা না পেয়ে ড্রেজার মেশিনে আগুন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কচাকাটা থানার এসআই জালাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের টেপারকুটি মন্ডল পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই এসআইকে বিক্ষূদ্ধ জনতা প্রায় ঘন্টাব‍্যাপি অবোরুদ্ধ করে রাখলে স্হানীয় এক যুবকের সহযোগিতায় মুক্ত হয়ে থানায় ফিরে
যান।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, উপজেলার কচাকাটার কেদার ইউনিয়নের মন্ডলটারী গ্রামের জৈনক সুলতান আহম্মেদ বারুর বাড়ির পিছনে একটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে দুধকুমার নদীর পাশে ব্যক্তি মালিকাধীন জমি থেকে বালু উত্তোলন করছিলেন ড্রেজার মালিক শহিদুল ইসলাম। সে বালু দিয়ে দামাল গ্রামের জনৈক ছালাম মিয়ার বাড়ির পাশের খাল ভরাট করা
হচ্ছিল।
ড্রেজার মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, প্রায় এক মাস ধরে বালু তুলছেন তিনি। গত মাসের ২৮ তারিখে এসআই জালাল উদ্দিনকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন তিনি। এ মাসেও টাকা চেয়েছেন। কিন্তু দেইনি। টাকা না পেয়ে আজ তিনি দুপুরের দিকে এসে আমার মেশিনে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে বাড়ির পাশেই মেশিনে আগুন দেয়ায় বাড়িতে আগুন লাগার আশঙ্কায় স্হানীয় গ্রামবাসী এসে আগুন নিভায়।এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ জনতা ওই এসআইকে মন্ডলপাড়া জামে মসজিদের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অবরুদ্ধ করে রাখে। এ ঘটনার খবর পেয়ে কচাকাটা থানার আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্থানীয় সুলতান আহম্মেদ বারু নামের এক যুবক তাকে মুক্ত করে থানায় পাঠান।
সুলতান আহম্মেদ বারু বলেন, আমি বাড়ি ছিলাম না। খবর পেয়ে এসে দেখি ঝামেলা চলছে। পুলিশের ওই এসআই আমাকে বলে গ্রামবাসী আমাকে যেতে দিচ্ছে না। পরে আমি তাকে নিয়ে এগিয়ে দিয়ে আসি।
ড্রেজার মালিকদের অভিযোগ, প্রতি মাসে ড্রেজার প্রতি ৫ হাজার টাকা দিতে হয় ওই এসআইকে। টাকা দিতে দেরি হলে ড্রেজার ভাঙচুর করেন।
স্হানীয় ড্রেজার মালিক শাহালম জানান, প্রতি মাসে তাকে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা দিতে হয়। গত মাসে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিয়েছি ওই এসআইকে।
স্হানীয় গ্রামবাসী আনছার আলী বলেন, বন্যায় বাড়িতে পানি উঠে তখন গবাদিপশু নিয়ে
তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সে কারণে ড্রেজারমেশিন দিয়ে মাটি কেটে বাড়ির ভিটা উচু করে চরাঞ্চলের মানুষ। তবে এটা বৈধ কিনা অবৈধ সেটা জানেন না তারা।
কেদার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নূর ইসলাম জানান, লোকমুখে শুনলাম মাসিক যে টাকাটা দেয়ার কথা সেটা না দেয়ায় পুলিশ এসে ড্রেজার আগুন দিয়েছে। পরে পাবলিক ওই পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
এ বিষয়ে এসআই শাহজালাল উদ্দিন টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, দুই গ্রামবাসীর অভিযোগের কারনে আমি অবৈধ ড্রেজার মেশিন বন্ধ করতে গেলে সেখানে গ্রামবাসী আমাকে আট-দশ মিনিট অবরুদ্ধ রাখে। তবে মেশিনে আগুন দেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরে ড্রেজারের পাশের বাড়ির মালিক বারু নামের এক যুবক আমাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে।
কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বলেন, এলাকার মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই জালাল উদ্দিন অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলা বন্ধ করতে গেলে সেখানে কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।পুলিশের টাকা নেয়ার বিষয়টি তাকে কেউ বলেনি। বললে তদন্ত করে ব‍্যাবস্হা নেয়া হবে
###
আমিনুর রহমান বাবু