খালেদা জিয়া আপোষ করলে প্রধানমন্ত্রী থাকতেন : শামসুজ্জামান দুদু

আপডেট: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
0

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সাথে আপস করতেন তাহলে তিনি বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ।

শনিবার নয়াপল্টনস্থ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জিয়া পরিষদ’-এর উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুস্থতা কামনা এবং জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম কবীর মুরাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি’র এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, জেনারেল মঈনদের সরকার ছিল একটি দেশের সেবাদাস। তারা গায়ের জোরে সংবিধানকে তছনছ করে ক্ষমতায় ছিল। আর তাদের সকল অপকর্মকে বৈধতা দিয়ে, তাদের সাথে আপস করে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। জেনারেল মঈনরা যেভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে শেষ করতে চেয়েছিল একইভাবে বর্তমান নিশিরাতের সরকার তাকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করতে চাচ্ছে। কিন্তু জনগণ সেই সুযোগ আর বেশিদিন দেবে না।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা আপসহীন নেত্রী বলি। তিনি অন্যায়ের সাথে আপস করেননি। তিনি আজকে কারাগারের মধ্যে আছেন। দীর্ঘ প্রায় তিনটি বছর তাকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রেখেছে এ সরকার। তিনি (খালেদা জিয়া) জেনারেল মঈন উদ্দীনের সাথে আপস করলে এখন প্রধানমন্ত্রী থাকতেন। বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন ওরা (মঈন-ফখরুদ্দীন) আমার কাছেও এসেছিল। তারা যে অন্যায় করেছিল সংবিধানকে পদদলিত করে ১/১১ সৃষ্টি করেছিল তাদের সাথে বেগম খালেদা জিয়া আপস করতে রাজি হননি।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আগের রাষ্ট্র আর এখনকার রাষ্ট্র এক না। আগে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, আন্দোলন, মিছিল মিটিং করা যেত আর এখন আইন আদালত, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন সবকিছুই শতভাগ দলীয়করণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ান, আমারদেশ পত্রিকাসহ অসংখ্য পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। একারণেই বলা যায় আগের রাষ্ট্র আর এখনকার রাষ্ট্র এক না।

কবির মুরাদের স্মৃতি স্মরণ করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন যেটা করেছেন সেটারই সপক্ষে ছিলেন কবির মুরাদ। কোনো অবস্থাতেই তিনি বাইরে যাননি। যার কারণে অনেক সময় তার ওপর নির্যাতন নেমে এসেছিল।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা: আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. শফিকুল ইসলাম, মহাসচিব প্রফেসর ড. মো: এমতাজ হোসেন, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার রহুল আলম, প্রফেসর আবু জাফর খান, ইঞ্জিনিয়ার শরিফুজ্জামান খান, রবিউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম শহীদ প্রমুখ।